পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৮১

সেতুর দুই প্রান্তের এবং মধ্যস্থলের সুদৃঢ় পিজা দুইটি সেতুর অবশিষ্টাংশের অবলম্বনস্বরূপ হইয়াছে। মধ্যস্থলের পিল্লা দুইটির মূল সাগর-তলের ১০০ ফুট নিয়ে অর্থাৎ নদীগর্ভের ৭৩ ফুট নিয়ে প্রোথিত হইয়াছে। পিজা দুইটি ৬৪ ফুট বালুকা ও পলি, ১ ফুট তরঙ্গ চালিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপলখণ্ড, এবং ৮ ফুট পীতবর্ণ কঠিন এটেল মাটার মধ্য দিয়া নিমাভিমুখে চালিত হইয়াছে। জল যতদূর উচ্চে উঠিতে পারে, সেই সর্বোচ্চ সীমা ও ৩৬০ ফুট উর্দ্ধে সেতু অবস্থিত; সুতরাং ষ্টিমার ও দেশীয় বড় বড় বাণিজ্য-নৌকা সেতুর নিম্ন দিয়া অনায়াসে চলিয়া যাইতে পারে। সেতুটা সর্ব্বশুদ্ধ ১২০০ ফুট দীর্ঘ; তন্মধ্যে নদীর উভয় তীর হইতে বিস্তৃত খিলান দুইটির প্রত্যেকে ৪২০ ফুট এবং মধ্যস্থলের খিলানটি ৩৬০ ফুট দীর্ঘ। সেতুটির নির্মাণে সম্ভবতঃ প্রায় ৯০০,০০০ পাউণ্ড অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছে।”

 মিষ্টার এ, কে, রায় বলেন, বঙ্গদেশে ইংরেজদের বাণিজ্য প্রথমে বালেশ্বর হইতে আরম্ভ হয় এবং তাঁহাদের প্রথম জাহাজ ‘ফকন’ ৪০,০০০ পাউণ্ডের অধিক মূল্যের পণ্য স্বর্ণ-রৌপ্যের পিণ্ড ও অন্যান্য দ্রব্য লইয়া সাহসে ভর করিয়া নদী দিয়া হুগলী নগরে উপস্থিত হয়। কথিত আছে যে, ১৭০৪ সালে বন্দর-শুল্ক ৫০০ টাকা হইয়াছিল। টন হিসাবে 'পাসের’ শুল্ক ৩৮৪ টাকা হইয়াছিল, এবং উহা মাদ্রাজ ও ইউরোপ হইতে আগত জাহাজ হইতে আদায় হইয়াছিল। প্রতি টনে এক টাকা শুল্ক নির্ধারিত ছিল। কোম্পানি আপনাদের 'পাইলট’গণকে অপরের জাহাজে কাজ করিতে দিতেন না। কিন্তু পাইলটদিগের সাহায্য গোপনে গ্রহণ করা হইত বলিয়া কোম্পানি কঠোরতা অবলম্বন করিলেন। পরন্তু