সাহেব লিখিয়াছেন;—১৭৯৫ সালের মে মাসে কলিকাতার নগরশুল্কগুলি রহিত করা হইয়াছিল, কিন্তু ১৮১০ সালের মে মাসে কয়েকটী ব্যতীত আর সমস্তগুলিই পুনঃ স্থাপিত হয়।” ১৮১০ সালে শুল্কগুলি পূনর্ব্বার রহিত হইয়া যায়, কিছু দিন পরে তাহা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অবশেষে ১৮১৬ সালে তাহা চিরদিনের জন্য রহিত হইয়া যায়। প্রথম প্রথম সকল মালেরই উপর শুল্ক আদায় হইত বটে, কিন্তু বোধ হয় কয়েক বৎসর পরে শস্যের উপর কয়ালী ব্যতিরেকে অন্য কোন শুল্ক গ্রহণ করা হইত না; কারণ ১৭৭৩ সালের ৯শে ফেব্রুয়ারি তারিখে রে বিজ্ঞাপনপত্র প্রচারিত হয়, তারা এইরূপ ঘোষিত হয় যে, এই প্রেসিডেন্সিতে পূর্বাপর যেরূপ প্রথা চলিয়া আসিতেছে, তদনুসারে অন্যান্য বাণিজ্য দ্রব্যের ন্যায় সর্বপ্রকার সুরা ও খাদ্য দ্রব্য এবং শস্য ব্যতীত নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বস্তুর নিমিত্ত শুল্ক দিতে হইবে। পরন্তু ইহাও ঘোষিত হয় যে, কষ্টম মাষ্টারের অনুমতি ব্যতিরেকে কলিকাতা সহরের সীমার মধ্যে শস্য নামাইতে পারা যাইবে না এবং কয়াল বা কষ্টম হাউসের কর্মচারিগণের সাক্ষাতে শস্য বিক্রয় করিতে হইবে ও তাহারা কলিকাতার পূর্বাপরপ্রচলিত প্রথাক্রমে বিক্রীত শস্যের কয়ালী আদায় করিবে। ১৭৬৫ সালে কলেক্টর গ্রে সাহেব নগরের বারবিলাসিনীলিগের নিকট হইতেও শুল্ক আদায় করিতে ছাড়েন নাই; কিন্তু পরে লর্ড ক্লাইভ ঐরূপ শুল্কের অনুমোদন না করায় তাহা রহিত হইয়া যায়।
ষ্টার্ণডোল সাহেব লিখিয়াছেন;—“কলিকাতা লুণ্ঠনের পূর্ব্বে কিন্তু ঠিক কোন বৎসরে তাহা আমি নির্ণয় করিতে পারি না,