পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
কলিকাতার ইতিহাস।

 ফস্টার সাহেব তাঁহার ৭৮২-৮৩ অব্দের ভ্রমণবৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে, তিথি হীরাট নগরে ১০০ জন হিন্দু বণিককে বাণিজ্য করিতে দেখিয়াছিলেন; এতদ্ভিন্ন তাশীশ, নগরে আর ১০০ জন হিন্দু বণিক ব্যবসায় করিত। অপর কতকগুলি বণিক বাকুমশীদ, ভেজদ এবং কাস্পীয়ান ও পারস্য উপসাগরের উপকূল প্রদেশে স্থানে স্থানে বসতি স্থাপন করিয়াছিল। ফষ্টার সাহেব বাকুতে এমন একজন সন্ন্যাসীকে দেখিতে পাইয়াছিলেন যে, কতিপয় হিন্দু বণিক তাঁহাকে তাঁহাদের রুশিয়াদেশস্থ গোমস্তাগণের নিকট অনুরোধপত্র প্রদান করেন। ঐ সন্ন্যাসী ইংল্যাণ্ডে যাইতে ইচ্ছুক ছিলেন। হিন্দুরা কলিকাতার ন্যায় আস্ত্রাকান নগরেও বসতি স্থাপন করিয়াছেন, কিন্তু তথায় তাঁহাদের পরিবার ছিল না।

 এতদ্দেশে বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতির বাণিজ্য সম্বন্ধে সাধারণ ভাবে কিছু বলা আবশ্যক। অতি প্রাচীন কাল হইতে ইউরোপীয়েরা ভারতবর্ষের সহিত পারস্য উপসাগর ও লোহিতসাগরের পথে বাণিজ্য করিতেন। সুপ্রসিদ্ধ গ্রীকৃ রাজ আলেকজাণ্ডারের সময় হইতে ভাস্কোডা গামার সময় পর্যন্ত ইউরোপীয় পর্যটকেরা ভারতভ্রমণে আসিতেন এবং এতদ্দেশের অপরিমেয় ধন, অতুল ঐশ্বর্যাড়স্বর ও ভূমির উর্ব্বরতার অত্যদ্ভুত বিবরণসমুহ স্ব স্ব দেশে লইয়া যাইতেন। পরন্তু তৎকালে স্থলপথ ও সাগরপথই যে একমাত্র নৈসর্গিক বিঘ্নরূপে দণ্ডায়মান হইত তাহা নহে, প্রত্যুত মধ্যবর্তী ভূভাগসমুহের সমরপ্রিয় জাতিরাও নিয়মিত বাণিজ্যপরিচালন বিষধে দুর করিয়া তুলিত। প্রকৃতপক্ষে তৎকালে স্থলপথে ও তৎপরে লোহিতসাগর দিয়া অতি কষ্টে প্রধানতঃ ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ইটালীর নগর সমুহের সহিত এবং তথা হইতে লেঁঁবাচের বন্দর