অষ্টম অধ্যায়।
ইংরেজ শাসনাধীনে দেওয়ানী ও ফৌজদারী
বিচারবিতরণের ইতিবৃত্ত।
ভলটেয়ায় বলিয়াছেন, “কোন প্রকার শাসনপ্রণালীই এ পর্য্যন্ত সম্পূর্ণ নির্দ্দোষ হইতে পারে নাই, কারণ মানুষ চিরদিনই ষড়রিপুর অধীন; তাহাদের যদি রিপুই না থাকিত, তাহা হইলে তাহাদের কোন প্রকার শাসনপ্রণালীরই প্রয়োজন হইত না। মানুষের সহিত মানুষের বিবাদস্থলে মানুষর বিচারবিতরণব্যাপারে পুর্ব্বোক্ত উক্তির সত্যতা সবিশেষরূপে প্রমাণিত হইয়া থাকে। কথায় বলে, আদিম অবস্থায় “জোর যার মুলুক তার” ছিল। প্রথম সৃষ্ট মনুষ্য যৎকালে নিজ প্রয়োজন সাধনার্থ ভূমি বেষ্টন করিয়া লন এবং স্বয়ং তাহা ভোগ করিতে থাকেন, তৎকালে তিনি সেই ভূমির অধিকারী ও স্বামী হইয়া পড়েন। ইহা হইতেই তাঁহার স্বত্বের উদ্ভব হয়। বর্ত্তমান সভ্য দেশসমূহে পুরোহিত-বিচারালয়গুলির কার্য্যাবলী অতি অদ্ভুত ব্যাপার বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। প্রোটেষ্টাণ্টগণ কর্ত্তৃক ক্যাথলিকদিগের প্রতি এবং ক্যাথলিকগণকর্ত্তৃক প্রোটেষ্টাণ্টদিগের প্রতি ব্যবহার পর্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, রিপুগণ কিরূপে বিচারবুদ্ধিকে বিকৃত করে। হায়! অত্যাচার-উৎপীড়ন এইখানেই শেষ হয় নাই। পাপীদিগের চিরনরক ভোগের নিমিত্ত ভগবানের ক্রোধ ও অভিশাপের প্রার্থনা করা হইত। মানুষ যতদিন রিপুর অধীন থাকিবে, ততদিন পক্ষ-