পরিণত করেন। এইরূপে তাঁহারা আপন আপন কুঠির সীমার মধ্যে আপনাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাহা রক্ষা করিতে প্রবৃত্ত হন। এই সকল গড়বন্দীর ভিতর ইউরোপীয়দিগের ন্যায় দেশীয়েরাও গৃহনির্ম্মাণপূর্ব্বক বাস করিতে আরম্ভ করেন এবং সেইজন্য নবাব দেশীয়দিগের বিচারার্থ কাজি বা অন্য বিচারপতি প্রেরণ করিতে উদ্যত হইলে কোম্পানির কর্ম্মচারীরা তাঁহাকে এই কার্য্য হইতে নিবৃত্তি করিবার নিমিত্ত উৎকোচ প্রদান করিয়া বশীভূত করিতেন।
১৬০১ খৃষ্টাব্দের সনদ ১৬০৯ ও ১৬৬১ অব্দে পুনর্নবীভূত হয়। পরন্তু ১৬৯৮ অব্দে লর্ড গডলফিনের বিধান অনুসারে তদানীন্তন দুইটি কোম্পানি মিলিত হইয়া যায় এবং তদবধি ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি নামে পরিচিত হইতে আরম্ভ করে। সেই সনন্দঅনুসারে কোম্পানি আপনাদের যাবতীয় দুর্গ, কুঠি ও আবাদের শাসনক্ষমতা প্রাপ্ত হন,—কেবল রাজক্ষমতাটুকু ইংল্যাণ্ডেশ্বরের নিজ হস্তে থাকে। পুর্ব্বের ন্যায় বিচারালয়সমুহ প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু আইন করিবার ক্ষমতা সম্বন্ধে তৎকালে কোন কথাই বলা হয় নাই।
১৭২০ অব্দে বা তৎসমকালে শাসনসম্পর্কীয় কতকগুলি বিষয়ের ভার কলিকাতার “জমিদার’ নামক কর্ম্মচারীর হস্তে অর্পণ করা হয়। কাউন্সিলের কোন সদস্য যদি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী হইতেন, সাধারণতঃ তিনিই এই পদে অধিষ্ঠিত হইতেন। এই বিচারালয়ের নাম “ফৌজদারী কাছারী” ছিল। ১_২০ অব্দে ইহার প্রথম স্থাপন কাল হইতে ১৭৫৬ অব্দ পর্য্যন্ত গোবিন্দরাম মিত্র জমিদারের দেওয়ান অর্থাৎ প্রতিনিধিরূপে কার্য্য করেন। ষ্টার্নডেল সাহেবের মতে গ্রীক্ নামক একজন সাহেব প্রথম জমিদার