ব্যক্তি তাঁহাকে ঐ কার্য্য হইতে বিরত করিবার অভিপ্রায়ে এক লক্ষ টাকা উৎকোচস্বরূপ প্রদান করেন। হলওয়েল সাহেব ঐ টাকা স্বয়ং গ্রহণ না করিয়া উহা কোম্পানীকে অর্পণ করিয়াছিলেন। তিনি কতকগুলি মূল্যবান্ পুস্তিকা প্রচার করেন। সেগুলি হলওয়েল ইণ্ডিয়া ট্রাক্টস্ (Holwell India Tracts) নামে পরিচিত। তাহা হইতে কলিকাতাসংক্রান্ত অনেক প্রয়োজনীয় কথাই জানিতে পারা যায়। তিনি ১৭৮০ অব্দে ইংল্যাণ্ডে প্রত্যাবৃত্ত এবং ১৭৯৮ অব্দে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
১৭২৬ অব্দে (পাদ্রি লঙ সাহেব বলেন, ১৭২৪ অব্দে) কলিকাতায় “মেয়র্স কোর্ট” সংস্থাপন ব্যাপারের আলোচনায় অনেক প্রাচীন কথার স্মৃতিই জাগিয়া উঠে। ডিরেক্টর-সভার আদেশক্রমেই উহা প্রথম সংস্থাপিত হয়। ডিরেক্টরগণ অপরাপর যুক্তি ব্যতীত এইরূপ যুক্তিও প্রদর্শন করেন যে, “মাদ্রাজ, ফোর্ট উইলিয়াম ও বোম্বাই নগরে দেওয়ানী মোকদ্দমাসমূহের অপেক্ষাকৃত সত্বর ও সুন্দর নিষ্পত্তির নিমিত্ত এবং প্রাণদণ্ডযোগ্য ও অন্যান্য প্রকার অপরাধ ও দুরাচরণের বিচার ও দণ্ডবিধানের নিমিত্ত যথেচিত ও যথোপযুক্ত ক্ষমতার অভাব দৃষ্ট হয়। একজন মেয়র ও নয়জন এল্ডারম্যান্ লইয়া এই বিচারালয় গঠিত হয় এবং স্থির হয় যে, ইঁহাদের মধ্যে সাতজন এল্ডারম্যান্ ও মেয়র প্রকৃত বৃটেনজাত বৃটিশ-প্রজা হওয়া আবশ্যক। অবশিষ্ট দুইজন বৈদেশিক প্রোটেষ্ট্যাণ্ট হইতে পারেন, কিন্তু তাঁহারা গ্রেট বৃটেনের সহিত মিত্রতাসূত্রে আবদ্ধ কোন রাজ্যের বা রাজার প্রজা হওয়া চাই। মেয়র ও এল্ডারম্যানদিগের নিয়োগ ক্ষমতা গভর্ণর বা কাউন্সিলের প্রেসিডেণ্টের হস্তে অর্পিত হয়। রেণি সাহেবের মতে, মেয়র