মুর্শিদাবাদ হইতে কলিকাতায় উঠাইয়া আনিলেন। পাদরি গ্রীগ সাহেব এতৎ সম্বন্ধে তাঁহার ক্রিয়াকলাপের এই রূপ বর্ণন করিয়াছেন;—
তিনি প্রদেশত্রয়ের কার্য্যের তত্ত্বাবধানের ভার গ্রহণ করিয়া দেখিতে পাইলেন যে, কোষাগার অর্থশূন্য ও গবর্ণমেণ্ট স্বয়ং প্রভাবশূন্য। কেহই বলিতে পারিত না, রাজস্ব কিরূপে সংগৃহীত হইত; তাহাও আবার বৎসর বৎসর উত্তরোত্তর অল্প লাভজনক হইতেছিল। এমন কোন বিচারালয় ছিল যে, যেখানে লোকে প্রবলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বা দুর্ব্বলের চাতুরীজালের বিরুদ্ধে আবেদন করিতে পারে। পুলিশের অবস্থা অতীব শোচনীয় ছিল; তদ্রুপ পুলিশকে তৃণজ্ঞান করিয়া দস্যুগণ দলে দলে দেশের সর্ব্বত্র বিচরণ করিত। তদুপরি এক ভীষণ দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইয়া বহু লোককে গ্রাস করিয়াছিল; এক্ষণে তাহার ফলে বিষম দারিদ্র ও রোগ দেখা দিল—দুর্ভিক্ষতাবশিষ্ট লোকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও তাহার গতিরোধ করিতে সমর্থ হইল না। বাণিজ্যের অবস্থাও তদ্রুপ; দেশীয় ও বিদেশীয় উভয় প্রকার বাণিজ্যই অংশতঃ ব্যক্তিবিশেষের অসদাচরণবশতঃ ও অংশতঃ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষস্থানীয়গণের ঔদাসীন্য হেতু সম্পূর্ণ ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছিল। সামান্য দুই বৎসর কালের মধ্যে হেষ্টিংস সাহেব এই অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপর্য্যয় করিয়া তুলিলেন। ডাকাইত, সন্ন্যাসী এবং অন্যান্য লুণ্ঠনকারীদিগের অত্যাচার হইতে প্রদেশগুলিকে ক্রমশঃ উদ্ধার করা হইল। উহারা যেখানেই দেখা দিতে লাগিল, তিনি সেইখানেই উহাদিগকে ধরিয়া সাজা দিতে লাগিলেন, এবং এই রূপে অবশেষে উহাদের উৎপাত নির্ম্মূল করিলেন। রাজস্ব সংগ্রহ বিষয়ের দারুণ বিশৃঙ্খলা নিবারণ