পার্জ্জন অসম্ভবপর করিয়া তুলিবার নিমিত্ত ও ভারতরাজ্যের শাসন ব্যাপার সুনিয়মে পরিচালিত করিবার জন্য বিবিধ বিধিব্যবস্থা ও আইন কানুন স্থিরীকৃত ও বিধিবদ্ধ হইতে লাগিল।
১৭৭২ অব্দে ওয়ারেন্ হেষ্টিংস কলিকাতার সদর দেওয়ানী আদালত নামে একটি চরম বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রথম প্রথম প্রেসিডেণ্ট এবং কাউন্সিলের তিন জন বা ততোধিক সংখ্যক সদস্য লইয়া এই কোর্টের অধিবেশন হইত। মফস্বল আদালতের যে যে স্থলে বিবাদের বিষয়ীভূত সম্পত্তির মূল্য ৫০০০৲ টাকার অধিক হইত, সেই সেই স্থলেই ঐ সকল আদালতের উপর ইহার অধিকার ছিল।
পার্লামেণ্ট মহাসভা ভারতরাজ্যের শাসনসৌকার্য্যার্থ ১৭৭৩ অব্দে “রেগুলেটিং একট্” নামে যে একটী আইন জারি করেন, তাহার বিধানানুসারে কলিকাতায় সুপ্রীমকোর্ট নামক বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্লামেণ্ট সভার সভ্যগণ দুই দলে বিভক্ত এবং দুই দলের মত পরস্পরের সম্পূর্ণ বিরোধী। এই দুই দলের মধ্যে যখন যে দল প্রবল থাকেন, তখন সেই দলই ইংল্যাণ্ডের মন্ত্রিত্ব করেন। এই সময়ে যে দল মন্ত্রিত্ব করিতেছিলেন, তাঁহাদেরই সবিশেষ যত্নচেষ্টায় উক্ত আইন বিধিবদ্ধ ও সুপ্রীমকোর্ট স্থাপিত হয়। কারণ তাঁহাদের মনে এইরূপ একটা দৃঢ় সংস্কার জন্মিয়াছিল যে, ভারতস্থ ইংরেজগণ লুণ্ঠন ও প্রবঞ্চনা দ্বারা অগাধ অর্থ উপার্জ্জন করিয়া থাকেন। বিচার ও শাসনবিভাগের স্বতন্ত্রীকরণই এই বিচারালয় স্থাপনের মুখ্য ও ব্যক্ত উদ্দেশ্য ছিল। তাঁহারা মনে করিয়াছিলেন যে, এই সুপ্রীমকোর্ট ইংল্যাণ্ড হইতে প্রাপ্ত সহায়তার বলে ক্রমশঃ নিম্ন আদালতগুলির উপর কর্ত্তৃত্ব করিতে সমর্থ হইবে এবং সমস্ত বিচার