পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২৩৩

ষ্ট্রেটগণের প্রথম শ্রেণীর মাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে। বোধ হয়, পূর্ব্বে যে জমিদারের কাছারী ছিল এবং কলিকাতায় ইংরেজ দিগের প্রথম উপনিবেশ স্থাপনকালে জষ্টিস অভ্ দি পীসগণের যে কাছারী ছিল, ঐ দুইটি বিচারালয়ের স্থলে কলিকাতা পুলিশ কোর্টের উদ্ভব হইয়াছে। প্রথম অবস্থায় কলিকাতায় দুইটি জেলখানাও ছিল। একটি ছিল লালবাজারে। তৎসম্বন্ধে উল্লিখিত হইয়াছে যে, “উহা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর, কিন্তু উহাতে স্ত্রীলোকের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রকোষ্ঠের অভাব আছে।” অপরটি ছিল বড়বাজারে। তৎসম্বন্ধে উল্লিখিত হইয়াছে যে, “একটী আবদ্ধ স্থান, তথায় অত্যন্ত রোগপীড়া হওয়ার সম্ভব।” বর্ত্তমান সময়ে প্রেসিডেন্সী জেল নামক একটি কারাগার ময়দানের (গড়ের মাঠের) উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। ইহাও উল্লিখিত আছে যে, শুক্রবার অপরাধীদিগকে বেত্রদণ্ড দিবার দিন বলিয়া নির্দ্দিষ্ট ছিল।

 সেকালে ব্যবহারাজীবগণের সহিত কর্ত্তৃপক্ষের প্রায়ই সঙ্ঘর্ষণ উপস্থিত হইত। ১৭৭৪ অব্দে একব্যক্তি লিখিয়াছেন, “ভারতীয় সেনাদলের যাত্রাকালে গলিত মাংসভোজী বায়সদল যেরূপ তাহাদের অনুসরণ করে, তদ্রূপ যে সকল এটর্ণি শিকারের অন্বেষণে জজের অনুগমন করে, তাহারা দেশীয়দিগের মধ্যে মামলাপ্রিয়তার ভাব পরিপুষ্ট রাখিতে সাতিশয় কৃতকার্য্য হইয়া থাকে; তাহার একটি বিশিষ্ট কারণ এই যে, শিশুরা যেরূপ নূতন খেলনা পাইলে অতিশয় আহ্লাদিত হয়, দেশীয়েরাও তদ্রূপ বিরক্তিজনক মামলা মোকদ্দমাদ্বারা পরস্পরকে উত্ত্যক্ত করিয়া তুলিবার সুযোগ পাইলে যারপরনাই সন্তুষ্ট হইয়া থাকে। আর এই যে সমাজের কণ্টকস্বরূপ