বেলিফের (পিয়াদার) দল, এই দুর্বৃত্ত দল ভারতে নূতন আবির্ভূত, ইহারা আইনের নির্য্যাতনে উৎপীড়িত হতভাগ্য শিকারের প্রতীক্ষায় সহরের প্রত্যেক রাস্তাতেই ঘুরিয়া বেড়াইতেছে দেখা যায়। যে ইংরেজী উদ্ধত ও উচ্ছৃঙ্খল স্বেচ্ছাচারিতার ভাব গোলামকে প্রভুর প্রতি অবমাননাসূচক ব্যবহার করিতে এবং তাহার সেই ঔদ্ধত্য জন্য যথাযোগ্য দণ্ডিত হইলে তাহাকে ওয়েষ্টমিনিষ্টারে ড্যামেজের (ক্ষতিপূরণের) নালিশ উপস্থিত করিতে শিক্ষা দেয়, অধুনা অতি সামান্য ভৃত্যেরাও সেই উদ্ধত ভাব প্রকাশ করিতে শিক্ষা পাইয়া থাকে। যে সকল ভদ্রলোক আপনাদের গোলামের গায়ে হাত তুলিতে সাহসী হন, তাঁহাদের প্রতি এক্ষণে প্রতিদিনই যথেচ্ছ অর্থদণ্ডের প্রয়োগ হইয়া থাকে। ওয়েস্টমিনিষ্টারে যে বাণিজ্যব্যবসায়ী ম্যাজিষ্ট্রেট মেছুনীর ঝগড়ার বিচার করেন এবং শিলিঙ ওয়ারেণ্টের বিক্রয়দ্বারা জীবিকা নির্ব্বাহ করেন, এরূপ ম্যাজিষ্ট্রেটের অফিস যেরূপ, আজিকালি বাঙ্গালার চীফ জষ্টিসের ভবনও সেইরূপ।
ওয়াল্টার হ্যামিল্টন স্বকীয় গেজেটিয়ারে লিখিছেন, “সুপ্রীম কোর্টে সর্ব্বশুদ্ধ ২০ জন ব্যবহারাজীব স্বাধীনভাবে কার্য্য করিয়া থাকেন, তন্মধ্যে ১৪ জন এটর্নি এবং ৬ জন ব্যারিষ্টার। সে সময়ে ব্যবহারাজীবগণ অগাধ অর্থ উপার্জ্জন করিতেন, এবং তাঁহারা দেশীদিগের মধ্যে মোকদ্দমা বাধাইয়া তাহাদের মামলাপ্রিয়তা বাড়াইয়া তুলিতেন।” আর এক ব্যক্তি লিখিয়াছেন, “ব্যবহারাজীবগণ যে এক এক জন ধনকুবের হইয়া এ দেশ হইতে প্রতিগমন করেন, তাহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কিছুই নাই! তাহাদের ফি অত্যন্ত অধিক! তুমি যদি কোন বিষয়ে একটিমাত্র কথা জিজ্ঞাসা কর,