পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৮
কলিকাতার ইতিহাস।

চনা করিলে, এই মতের সত্যতা প্রতিপন্ন হইবে। ইংরেজের বিধিব্যবস্থা প্রণয়নপ্রণালী ক্রমোন্নতিশীল। ১৮৫৭ অব্দের সিপাহীবিদ্রোহ প্রশমনের পর যৎকালে ইংল্যাণ্ডেশ্বরী স্বহস্তে ভারতের শাসনদণ্ড গ্রহণ করেন, তদবধি গভর্ণমেণ্টের বিধিব্যবস্থাসমূহ এক নির্দ্দিষ্ট পথে পরিচলিত হইয়া আসিতেছে। ভারতবর্ষ এক্ষণে ইংল্যাণ্ডেশ্বরের সাম্রাজ্যের একটি অংশ হইয়া পড়িয়াছে। সুতরাং ইহার হিতাহিতও এক্ষণে ইংল্যাণ্ডের গভর্ণমেণ্টের সবিশেষ চিন্তার বিষয়ীভূত হইয়াছে।


নবম অধ্যায়।

মুদ্রাযন্ত্র বা সংবাদপত্র।

 যে সমস্ত কারণ প্রভাব বিস্তার করিয়া আধুনিক সভ্যতাকে বর্ত্তমান পথে পরিচালিত করিয়াছে, তন্মধ্যে সংবাদপত্র অন্যতম প্রধান কারণ। সংবাদপত্রের প্রভাবের পরিমাণ ও ইহার যথোচিত স্থান নির্ণয় করা একান্ত দুঃসাধ্য। অনেকে বলিয়াছেন, “সংবাদপত্র রাজ্যের চতুর্থ বল।” বোধ হয়, ইহার শক্তি তদপেক্ষাও অধিক। লাটিন ভাষায় একটি প্রবাদ-বাক্য আছে; তাহার অর্থ—‘জনসাধারণের বাণীই ভগবানের বাণী।’ সংবাদপত্র সেই জনসাধারণের বাণী প্রচার করিবার ভার গ্রহণ করিয়া থাকে। সভ্যতার উন্নতির সহিত সংবাদপত্রের ইষ্টানিষ্ট-সাধনশক্তি অতি দ্রুত