পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৪
কলিকাতার ইতিহাস।

মার্জিত জ্ঞান, সভ্যতা ও শিল্পবিজ্ঞান বিস্তার করিব এবং তদ্দ্বারা জনসাধারণের অবস্থার উৎকর্ষ বিধান করিব। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতাই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ উপায়।”

 কলিকাতাবাসীরা এই মহোপকারের স্মরণার্থ ভাগীরথীর তীরে একটা সুন্দর অট্টালিকা নির্মাণ করিয়া তাহার নাম “মেটকাফ্ হল” রাখেন। যে উদ্দেশ্যে এই অট্টালিকা নির্মিত হয়, তৎসম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে, “ইহাতে একটি সাধারণ পুস্তকালয় থাকিবে এবং নানাপ্রকারে জ্ঞানবিস্তার কল্পে ইহার ব্যবহার হইবে। ইহাতে এইরূপ একটী ক্ষোদিত লিপি থাকিবে যে, স্যার চার্লস মেটকাফ্ ১৮৩৫ অব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্রকে স্বাধীনতা প্রদান করেন; তদ্ভিন্ন উক্ত স্বাধীনতাদাতার অর্দ্ধ-প্রতিমূর্ত্তিও অট্টালিকা মধ্যে স্থাপিত হইবে।”

 ইহার পর ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা দুইবার অস্থায়িভাবে হরণ করা হয়। একবার ১৮৫৭ অব্দে সিপাহীবিদ্রোহরূপ শোচনীয় ঘটনার সময়, এবং দ্বিতীয়বার ১৮৭৮ অব্দে লর্ড লিটনের শাসনকালে। পরন্তু এই দ্বিতীয়বারে কেবল দেশীয় ভাষায় প্রচলিত সংবাদপত্রসমূহের স্বাধীনতাই সঙ্কুচিত করা হইয়াছিল। পরে লর্ড রিপন মহোদয় ১৮৭৮ অব্দে এই বিষম পক্ষপাতমূলক অহিতকর আইন রদ করিয়া দেন।

 ১৭৬৮ অব্দে বোল্টস্ নামক একজন সাহেব কাউন্সিল হাউসে এবং অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানে এই মর্ম্মে একটি বিজ্ঞাপন দেন যে, “যাহাতে প্রত্যেক লোকের অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, এরূপ অতি প্রয়োজনীয় অনেকগুলি কাগজ পত্র তাঁহার হাতে আছে, কোনও ব্যক্তি পাঠ করিতে ইচ্ছা করিলে তিনি সন্তুষ্টচিতে তাহা পাঠ