পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৪৫

করিতে দিবেন, আর মুদ্রণকার্য্যে অভিজ্ঞ কোন এক বা একাধিক ব্যক্তি মুদ্রাযন্ত্র চালাইতে চাহিলে তিনি সে বিষয়েও সকল প্রকার সাহায্য করিতে প্রস্তুত আছেন, এবং তদ্ব্যতীত মুদ্রাযন্ত্রের আবশ্যক অক্ষর ও অন্যান্য সরঞ্জামও তিনি প্রদান করিবেন।” কলিকাতায় মুদ্রাযন্ত্রের অভাব সম্বন্ধে তিনি প্রায়ই অনুযোগ করিতেন। বষ্টিড্ সাহেব এই সমস্ত কথা লিপিবদ্ধ করিবার সময় বলিয়াছেন, “বোল্টস্ সাহেব প্রকাশ্যে এই অনুযোগ প্রকাশ করিলেও তাহার পর একাদশ বৎসরেরও অধিক কাল ঐ অভাব অপূর্ণ অবস্থাতেই থাকিয়া যায়, কারণ মুদ্রিত আকারে সাধারণ সংবাদ প্রকাশ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম্ম ও ইউরোপীয় অধিবাসীদিগের সামাজিক অভাবসমূহ প্রচার করিবার প্রধান উপায় মুদ্রাযন্ত্র। এই মুদ্রাযন্ত্র এশিয়ার সর্ব্বপ্রধাননগর (কলিকাতা) ১৭৮০ অব্দের পুর্বে প্রাপ্ত হয় নাই।” কলিকাতায় প্রচলিত প্রথম সংবাদপত্রের নাম “বেঙ্গল গেজেট” উহা ১৭৮০ অব্দের ২০শে জানুয়ারি শনিবার (অর্থাৎ ইংল্যাণ্ডের সুপ্রসিদ্ধ সংবাদপত্র “টাইমস্” প্রকাশিত হইবার আট বৎসর পূর্বে প্রথম প্রকাশিত হয়।) ইহা প্রচারিত হইবার বিজ্ঞাপনে এইরূপ লিখিত ছিল; “রাজনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক সাপ্তাহিক পত্র, সকলেরই নিকট উন্মুক্ত,কিন্তু কাহারও প্রভাব-পরিচালিত নহে।” দৈর্ঘ্যে প্রায় ১২ ইঞ্চি ও প্রস্থে ৮ ইঞ্চি এইরূপ দুই খণ্ড কাগজে ইহার অবয়ব গঠিত হইত; তাহার প্রত্যেক পৃষ্ঠা তিন কলাম (স্তম্ভ) করিয়া মুদ্রিত “ম্যাটার” থাকিত, তাহার অবকাশেই বিজ্ঞাপনে নিয়োজিত হইত। এতৎসম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে;—“এই ক্ষুদ্র কাগজের অধিকাংশ স্থান কলিকাতার ও মফঃস্বলের পত্র-লেখকগণের পত্রে পূর্ণ হইত, তদ্ভিন্ন সময়ে সময়ে