ধরতা অনুপ্রবিষ্ট করিয়াছিলেন। তাঁহার মন প্রকৃত কার্য্যপ্রবণ ছিল। তাহার মনের ছায়া তাহার লেখায় সুপরিস্ফুট হইত। তিনি স্বাধীনভাবে সকল বিষয়ের সমালোচনা করিতেন। তাঁহাকে বিশ্বাস করিয়া কোন কথা বলিলে, সে গুপ্ত কথা তিনি কখনই ব্যক্ত করিতেন না, এবং কখনও কাহাকেও ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করিয়া কটুক্তি বর্ষণ করেন নাই। তাঁহার এই এক অসাধারণ ক্ষমতা ছিল যে, তিনি অতি সহজে প্রকৃত ব্যাপার আয়ত্ত করিয়া ফেলিতে পারিতেন, কিন্তু নিজ মনোভাব কর্তৃক পরিচালিত হইয়া তিনি কখনও বাগাড়ম্বর প্রকাশ করিতেন না।
ইণ্ডিয়া মিরর-সুপ্রসিদ্ধ ব্যারিষ্টার ৺মনোমোহন ঘোষের দেশহিতৈষিতায় ও ৺দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অর্থসাহায্যে ১৮৬১ অব্দে পাক্ষিকপ রূপে ইহার আবির্ভাব হয়। শ্রীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ সেনও ইহাতে লিখিতেন। কিছুদিন পরে মনোমোহন সে ব্যারিষ্টার হইবার নিমিত্ত ইংলণ্ডে গমন করিলে ইহার পরিচালনভার নরেন্দ্রনাথের হস্তে পতিত হয়। তাহার সুদক্ষ সম্পাদনে ইহা সাপ্তাহিক আকার ধারণ করে। অতঃপর সুপ্রসিদ্ধ বক্ত। ও ব্রাহ্মনে কেশবচন্দ্র সেন ইহাকে দৈনিক করিবার কল্পনা করেন। অবশেষে অন্যতম বিখ্যাত ব্রাহ্মনেতা প্রতাপচন্দ্র মজুমদারকে সম্পাদক ও বর্তমান সম্পাদকের পিতৃব্যপুত্র কৃষ্ণবিহারী সেনকে সহসম্পাদক করিয়া কেশবচন্দ্র সেন ১৮৭৮ অব্দে আপনার সঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত করেন। কয়েক বৎসর যাবৎ সমগ্র ভারতবর্ষে ইহাই একমাত্র দেশীয় পরচালিত ইংরেজী দৈনিক সংবাদপত্র ছিল। ১৮৭৯ অব্দে নরেন্দ্র নাথ সেন ইহার একমাত্র স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক হন তৎপুর্ব্বে ইহা কয়েকজনের মিলিত সম্পত্তি ছিল। কয়েক বৎসর ইহার একটী