বিশেষ রবিবারে সংস্করণ বাহির হইয়াছিল; তাহাতে কেবল ধর্ম্মবিষয়ের আলোচনা হইত রবিবারের কাগজখানি কৃষ্ণবিহারী সেন সম্পাদন করিতেন।
অমৃতবাজার-পত্রিকা-ইহার জন্মস্থান যশোহর জেলা। প্রার ৩৫|৩৬ বৎসর হইল, শ্রীযুক্ত শিশিরকুমার ঘোষ ও তদীয় ভ্রাতৃগণের যত্নে ইহার জন্ম হয়। তাঁহাদের জননীর পবিত্র স্মৃতিরক্ষা তাঁহারই নামের অনুকরণে ইহার নামকরণ হয়। ইহা প্রথমে বাঙ্গালা ভাষায় লিখিত হইত; তৎপরে বাঙ্গালা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই লিখিত হইত। শিশিরকুমার ঘোষ কৃত “ইণ্ডিয়ান স্কেচেস্” নামক পুস্তকের ভূমিকায় লিখিত আছে যে, “লড লিটনের মুদ্রাযন্ত্রের মুখরোধক আইনের যখন প্রথম সূচনা হইল ও স্পষ্ট বুঝা গেল যে, দেশীয় ভাষায় প্রচারিত সংবাদপত্রসমূহ অল্পাধিক পরিমাণে শৃঙ্খলাবদ্ধ হইবে, সেই সময়ে যোষ ভ্রাতারা স্থির করিলেন যে, অতঃপর তাঁহাদের অমৃতবাজার পত্রিকা একমাত্র ইংরেজী ভাষায় লিখিত ও প্রচারিত হইবে।” নানাপ্রকার ভাগ্যবিপর্যয়ের পর ইহা এক্ষণে প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন ও ক্ষমতাশালী সংবাদপত্র হইয়া উঠিয়াছে। জীবনসংগ্রামের সেই প্রথম অবস্থায় ইহার স্বত্বাধিকারীরা মাননীয় রাজা দিগম্বর মিত্র বাহাদুর, মহারাজ কমলকৃষ্ণ বাহাদুর, শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভূদেব মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি মহাত্মাদিগের নিকট যথেষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুকূল্য লাভ করিয়াছিলেন। ১৮৮৯ বা ১৮৯০ অব্দে রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুরের পরামর্শে কাগজখানিকে দৈনিকরূপে প্রকাশ করার কথা স্থির হয় এবং তাহা কার্যেও পরিণত হয়। তৎকালে রাজা বাহাদুর নিজ ক্ষতি স্বীকার