সংখ্যা এত অধিক যে, তাহাদের প্রত্যেকটির কথা সংক্ষেপে বলিলেও তাহা নিতান্ত বিরক্তির কারণ হইয়া উঠিবে। এজন্য এস্থলে কেবল “ইণ্ডিয়ান নেশন” পত্রের উল্লেখ করিয়া ক্ষান্ত হই। লর্ড রিপণের শাসনকালে যখন ইলবার্ট বিল লইয়া তুমূল আন্দোলন ও বাগ্বিতণ্ডা চলিতেছিল, সেই ঘোর দুর্দিনে ১৮৮২ অব্দে ইহার জন্ম হয়। অগাধ পণ্ডিত ও চিন্তাশীল লেখক এবং মেট্রপলিটান ইনষ্টিটিউশন নামক কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ বারিষ্টার প্রবর শ্রীযুক্ত এন, এন, ঘোষ ইহার সম্পাদক।
আমরা এক্ষণে দেশীয় ভাষায় লিখিত সংবাদপত্রের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি। শ্রীযুক্ত এন, এন, ঘোষ মহোদয় স্বরচিত মহারাজ নবকৃষ্ণের জীবনচরিতে এক স্থলে বলিয়াছেন, “ইংলণ্ডের সহিত ভারতবর্ষের সংযোগ ভগবানের বিধানক্রমে হইয়াছে।” এই উক্তি যে অত্যন্ত সারবান, তাহাতে সন্দেহ নাই। বাঙ্গালা সংবাদপত্রের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইবার প্রাক্কালে আমরা এই উক্তির প্রতিধ্বনি না করিয়া থাকিতে পারিতেছি না। দেশীয় ভাষাসমূহের পুষ্টিসাধনের নিমিত্ত ইংরেজ রাজপুরুষ ও মিশনারিগণ যে কতদূর যত্ন চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। এই উদ্দেশ্য সাধন করিবার অভিপ্রায়ে ইংরেজ মিশনারিরা প্রথমে নিজেরাই প্রভূত শ্রম স্বীকার করিয়া দেশীয় ভাষা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন, এবং তৎপরে উন্নতিসাধনের দিকে মনোনিবেশ করেন। “জাতীয় শিক্ষা” কথাটীর অর্থ “জনসাধারণকে তাহাদের মাতৃভাষার সাহায্যে শিক্ষাদান।” ডাক্তার ক্যারি, মার্শম্যান, ওয়ার্ড ও ডফ, প্রমুখ মিশনারিগণ, লর্ড হেষ্টিংস, ওয়েলেসলি, হার্ডিঞ্জ, সার চার্লস্ ট্রোভলিয়ান ও হলিডে প্রভৃতি উচ্চপদস্থ রাজপুরুষগণ, এবং