বাঙ্গালায় অনেক নূতন নূতন বৈজ্ঞানিক শব্দের ব্যবহার প্রচলিত করি গিয়াছেন। তিনি সাতিশয় কোমলস্বভাব, দয়া, অমায়িক, অধ্যয়নরত ও শান্তিপ্রিয় ছিলেন। তিনি নীরবে দেশের উন্নতির কার্য করিয়া যাইতেন। তিনি ১৮২০ খৃষ্টাবে জন্মগ্রহণ করেন ও ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে কালগ্রাসে পতিত হন। বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে তিনি যে সকল গ্রন্থ লিখিয়াছেন, সেগুলি কেবল কলিকাতার কেন, বঙ্গদেশের সর্বত্রই অল্পবয়স্ক ছাত্রদিগের পাঠ্যপুস্তকরূপে মহাসমাদরে গৃহীত হইয়াছে।
কি ইংরেজী কি বাঙ্গালা, উভয় প্রকার সংবাদপত্র পরিচালনক্ষেত্রেই ৺ কেশবচন্দ্র সেন যেরূপ শ্রম স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তাহা অতীব মহনীয়। ইণ্ডিয়া মিরর পত্রের সম্পাদনে তিনি কিরূপ সহকারিতা করিয়াছিলেন, তাহা পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। রবিবারের মিরর তাঁহারই যত্নে প্রকাশিত হয়। ঐ কাগজে প্রথম প্রথম কেবল তত্ত্ব ও মানবের কতই আলোচিত হইত। তিনি বাঙ্গালায় “সুলভ সমাচার” নামে এক পয়সা মূল্যের একখানি কাগজ বাহির করেন; সুত্রাং যাইতে পারে যে, তিনিই বঙ্গদেশে সুলভ সংবাদ পত্রের প্রকৃত জন্মদাতা। উহা “নববিধান” হইতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাঙ্গালা সাহিত্যও গ্রহণ করে। বাঙ্গালা সাহিত্যের পরিপুষ্টি ও উন্নতিকল্পে উহার যত্নচেষ্টা সবিশেষ প্রশংসার যোগ্য, সন্দেহ নাই। সংসারে কি হইতেছে না হইতেছে এ তত্ত্বের সংবাদ যাহারা রাখেন, তাহারা অবশ্যই লক্ষ্য নির থাকিবেন যে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি সাধনকল্পে আড়ম্বরবিহীন ব্রহ্মেরা অকাতরে পরিশ্রম করিয়াছেন। বোধ হয়, কেশবচন্দ্র সেন হইতেই বাঙ্গালায় বক্তৃতাপ্রচারের সৃষ্টি। সময়ে সময়ে লেখা