গভর্ণরগণও অনেক কাজ করিয়াছেন। হেষ্টিংসের বিশিষ্ট অনুগ্রহে ডাক্তার উইলকিন্স ভগবদগীতার ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেন, এবং সার উইলিয়াম জোন্স, কোলব্রুক, গ্লাডউইন প্রভৃতি প্রসিদ্ধ ভাষাতৰিৎ ও পণ্ডিতগণ অনুসন্ধিৎসু ইউরোপীয়দিগের উপ- কারার্থ প্রাচ্য ভাষার গ্রন্থসমূহের প্রচারে নানাপ্রকারে সহায়তা করিয়াছিলেন। প্রাচ্য ভাষা ও সাহিত্যক্ষেত্রে ইউরোপীয় বাণিজ্য ব্যবসায়ীদিগের যত্ন চেষ্টায় প্রত্নতত্ত্ববিৎ ও ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের নিমিত্ত বহু জটিল প্রশ্ন মীমাংসিত হইয়াছে। তাহাতে প্রাচীন জগতের বহু অদ্ভুত তত্ত্ব প্রকাশিত হইয়াছে। উহার সাহিত্যিক গুরুত্ব সম্বন্ধে জনৈক লেখক এইরূপ মত প্রকাশ করিয়াছেন যে, “এই ঘটনা একমাত্র গ্রীক সাহিত্যের পুনরভ্যুদয় অপেক্ষা কিঞ্চিৎ অল্পগুরুত্ববিশিষ্ট, কিন্তু ধর্মবিষয়ক ও দার্শনিক হিসাবে বিবেচনা করিয়া দেখিলে, বোধ হয়, তদপেক্ষা অধিকতর ফলপ্রসূ......” উক্ত লেখক আর এক স্থলে বলিয়াছেন, ইহা “ভূতলস্থ অন্ধকারময় গহ্বরে দীপ লইয়া যাইয়া তাহার আলোক সাহায্যে পৃথিবীর নানা প্রকার আঙ্গিক পরিবর্তনের অনুসন্ধান এবং প্রকৃতির ধ্বংসপ্রাপ্ত জগতের ধ্বংসাবশেষসমুহের আবিষ্কার করিয়াছে;.....।” তদ্ভিন্ন ইহা “ভাষার গভীরতম প্রদেশসমূহের প্রকাশ করিয়াছে, বিভিন্ন খাতির নানা দেশে উপনিবেশ সংস্থাপনার্থ প্রস্থান ও সামাজ্যের পরিবর্তনসমূহ আবিষ্কার করিয়াছে, এবং মানবজাতির কোন কোন অংশের লুপ্তচিহ্নের পুনরুদ্ধার করিয়াছে।”
হিন্দুরা বিদ্যানুরাগের নিমিত্ত চিরপ্রসিদ্ধ। হিন্দুরা বিদ্যাকে যেরূপ আদর ও মূল্যবান্ জ্ঞান করেন, বোধ হয় ভূমণ্ডলের আর কোন জাতিই সেরূপ করেন না। ইহাদের বিদ্যানুরাগ কিরূপ