পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৮১

রের নাম দেখিয়াই বুঝা যায়। তাঁহার সভায় বিষয়ের বিচার হইত এবং বিচারক পপণ্ডিতগণকে যথোপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করিয়া উৎসাহ দেওয়া হইত। তাঁহার অগাধ ধন ও প্রভূত ক্ষমতা সহায়তায় তিনি বহু দুষ্প্রাপ্য পারসী ও সংস্কৃত হস্তলিখিত গ্রন্থ সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।”

 ৺ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “সমাচার চন্দ্রিকা” হিন্দু ধর্ম্মের পক্ষাবলম্বী বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। ১৮২১ অব্দে ইহা প্রথম প্রকাশিত হয়। ইহা ধর্ম্মসভার মুখপত্র ছিল। ভবানীচরণ এই সভারও সম্পাদক ছিলেন, এবং ৺রাজা গোমোহন দেব বাহাদুর উহার স্থাপনকর্তা ও সভাপতি ছিলেন। সত্য কথা বলিতে কি, হিন্দুধর্ম্মের স্বার্থসংরক্ষণার্থ হিন্দুদিগের উহাই সর্বপ্রথম সাধারণ অনুষ্ঠান। জে, সি, মার্শম্যান ভবানীচরণ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, পণ্ডিত আখ্যাধারী না হইলেও তিনি সাতিশয় বুদ্ধিমান ও বিলক্ষণ বিধান এবং অতীশয় উৎসাহশীল ও কার্যকুশল ব্রাহ্মণ ছিলেন বলিয়া স্বদেশীয়দিগের মধ্যে বিলক্ষণ প্রভুত্ব সংস্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। চন্দ্রিকার সুদক্ষ সম্পাদকের জীবিতকালে ইহা দেশের প্রচলিত কুসংস্কারের প্রবল রক্ষক বলিয়া বিবেচিত হইত। ভবানীচরণ যে সকল মত প্রকাশ করতেন, লোকে তাহা পরম সমাদরে গ্রহণ করিত। পরন্তু এই সমাজই ইহার উন্নতির এক মাত্র কারণ নহে, প্রত্যুত তাঁঁহার রচনার বিশুদ্ধতা ও প্রাঞ্জল ভাষাও তৎপক্ষে বিলক্ষণ সহায় কয়িছিল। কয়েক ২সর মাত্র হইল চন্দ্রিকার জীবনের অবসান হইয়াছে।

 তদানীন্তন কালের আর একখানি বিখ্যাত সংবাদপত্রের নাম “সংবাদ-প্রভাকর।” সুকবি ৺ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদকত্বে ১৮৩৫