পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৮৩

উচ্চশ্রেণীর রসমাধুর্য্য দেদীপ্যমান। পরন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের কবিতায় করুণরসাদি কবিজনোচিত উচ্চশ্রেণীর গুণপনার একান্ত অভার দৃষ্ট হয়।

 তদানীন্তন কালের আর একখানি প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন সংবাদপত্রের নাম “সংবাদ-ভাস্কর”। প্রখিতনামা পণ্ডিত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য্য ইহার সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাধারণত ‘গুড়গুড়ে ভভট্টাচার্য্য এই বিকৃত নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি “রসরাজ” নামে আর একখানি কাগজও বাহির করিয়াছিলেন। তৎকালীন হিন্দুসমাজ ঈশ্বরচন্দ্র ও গৌরীশঙ্করের সরস লিপিযুদ্ধে যার পর নাই আনন্দানুভব করিত। কথিত আছে যে, তাঁহারা এই ব্যাপারে নিরতিশয় অশ্লীলতা, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও কুরুচির পরিচয় দিতেন; পরন্তু বর্তমান সময়ের কোন কোন বাঙ্গালা সংবাদ পত্রে পরস্পরের প্রতি কটুক্তি বর্ষণের সহিত তুলনা করিলে, তাহাদের সে লেখাও সংযমের অভাব বলিয়াই বোধ হয়। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় মহারাজ কমলকৃষ্ণ বাহাদুর সংবাদ ভারে নিয়মিতরূপে প্রবন্ধ লিথিতেন। এই অধ্যায়ের শেষাংশে সংবাদপত্রের ও সাময়িক পত্রের এক তালিকা দেওয়া হই। তালিকা যে সম্পূর্ণ হইয়াছে, একটিও ছাড় হয় নাই এমন কথা বলিতে পারা যায় না।

 সোম প্রকাশ-বাঙ্গালা কাগজের মধ্যে পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ-সম্পাদিত “সোমপ্রকাশ” সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি অতি সুন্দর বাঙ্গালা লেখক ছিলেন,—তাঁহার লেখার তেজ ফুটিয়া বাহির হইত। ৺পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রমুখ সুবিচারকেরা তাঁহার লেখার যথেষ্ট সুখ্যাতি করিয়াছেন। বলিতে গেলে, তিনি