উচ্চশ্রেণীর রসমাধুর্য্য দেদীপ্যমান। পরন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের কবিতায় করুণরসাদি কবিজনোচিত উচ্চশ্রেণীর গুণপনার একান্ত অভার দৃষ্ট হয়।
তদানীন্তন কালের আর একখানি প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন সংবাদপত্রের নাম “সংবাদ-ভাস্কর”। প্রখিতনামা পণ্ডিত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য্য ইহার সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাধারণত ‘গুড়গুড়ে ভভট্টাচার্য্য এই বিকৃত নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি “রসরাজ” নামে আর একখানি কাগজও বাহির করিয়াছিলেন। তৎকালীন হিন্দুসমাজ ঈশ্বরচন্দ্র ও গৌরীশঙ্করের সরস লিপিযুদ্ধে যার পর নাই আনন্দানুভব করিত। কথিত আছে যে, তাঁহারা এই ব্যাপারে নিরতিশয় অশ্লীলতা, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও কুরুচির পরিচয় দিতেন; পরন্তু বর্তমান সময়ের কোন কোন বাঙ্গালা সংবাদ পত্রে পরস্পরের প্রতি কটুক্তি বর্ষণের সহিত তুলনা করিলে, তাহাদের সে লেখাও সংযমের অভাব বলিয়াই বোধ হয়। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় মহারাজ কমলকৃষ্ণ বাহাদুর সংবাদ ভারে নিয়মিতরূপে প্রবন্ধ লিথিতেন। এই অধ্যায়ের শেষাংশে সংবাদপত্রের ও সাময়িক পত্রের এক তালিকা দেওয়া হই। তালিকা যে সম্পূর্ণ হইয়াছে, একটিও ছাড় হয় নাই এমন কথা বলিতে পারা যায় না।
সোম প্রকাশ-বাঙ্গালা কাগজের মধ্যে পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ-সম্পাদিত “সোমপ্রকাশ” সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি অতি সুন্দর বাঙ্গালা লেখক ছিলেন,—তাঁহার লেখার তেজ ফুটিয়া বাহির হইত। ৺পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রমুখ সুবিচারকেরা তাঁহার লেখার যথেষ্ট সুখ্যাতি করিয়াছেন। বলিতে গেলে, তিনি