কাগজ বাহির করিয়াছিলেন। যে সকল মহাত্মা জর্জ টমসনের সহযোগে বৃটিশ ইণ্ডিয়ান্ সোসাইটী (পরে বৃটিশ ইণ্ডিয়া যাসোসিয়েশন) সংস্থাপন করেন, রামগোপাল তাঁহাদের অন্যতম ছিলেন। এই সভার আদি নাম ছিল “ল্যাণ্ড হোল্ডার্স য়্যায়োসিয়েশন” অর্থাৎ জমিদার-সভা। বঙ্গবাসীদিগের হিতকর বহু কার্য্যানুষ্ঠানেই তিনি মহানুভব ডেভিড হেয়ার ডি, বেথুন এবং ডাক্তার মোয়াটের সহযোগী ছিলেন। রামগোপাল এবং আর কয়েকজন মহানুষ ব্যক্তি দ্বারকানাথ ঠাকুর যাহাতে চারিজন ছাত্রকে বিভিন্ন ব্যবসায়ের উপযোগিনী শিক্ষা লাভ করিতে ইংল্যাণ্ডে প্রেরণ করেন, তদ্বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেন। সর্ব্বোপরি তাহার প্রধান গুণ, সুন্দর ইংরেজী বক্তৃতা। তাঁহার ন্যায় বাগ্মী বাঙ্গালীদের মধ্যে ইতঃপূর্বে আর জন্মগ্রহণ করেন নাই। গভর্ণমেণ্ট কলিকাতায় গঙ্গাতীরে হিন্দুদিগের শবদাহ প্রথা রহিত করিতে উদ্যত হইলে, রামগোপাল জষ্টিস অভ দি পীস গণের সভায় হিন্দুদিগের পক্ষ সমর্থন করিয়া ওজস্বিনী ভাষায় যে সারগর্ভ বক্তৃতা করেন, তজ্জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবেন। সেই বক্তৃতার ফলে গভর্ণমেণ্ট স্বীয় সঙ্কল্প পরিহার করতে বাধ্য হন। তাঁহার জীবনচরিত-লেখক বলেন,—“লেখকরূপেই কি, আর বক্তারূপেই বা কি বিশুদ্ধ ও সুপ্রণালীসম্মত ইংরেজী ভাষা প্রয়োগে তাঁহার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। তিনি যে কোন বিষয়ের আলোচনা বা পক্ষসমর্থন করিতেন, তাহাতে মন প্রাণ ঢালিয়া দিয়া এমনই বিভোর হইয়া প্রবৃত্ত হইতেন যে, ইংরেজী ভাব ও ভাষা তাঁর পক্ষে বৈদেশিক অথবা তিনি ইংরেজপরিবারের মধ্যে লালিত পালিত হন নাই, ইহণ বিশ্বাস করা দুঃসাধ্য হইত। কলিকাতায় সুপ্রসিদ্ধ ব্যারি-
১৩