ষ্টার কক্রেন সাহেব এক সময়ে বলিয়াছিলেন যে, স্বদেশীয়দিগের হিতকর সর্ববিষয়ের সমর্থনে রামগোপাল যেরূপ বাগ্মিতা ও আগ্রহ প্রকাশ করিতেন, অন্য কাহাকেও তদ্রুপ করিতে তিনি কখনও শুনেন নাই” রামগোপাল জাতিতে কায়স্থ ছিলেন। তাঁহার পিতার নাম গোবিন্দচন্দ্র। তিনি ১৮১৫ অব্দের অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৬৮ অব্দের ২৫শে ফেব্রুয়ারি কালগ্রাসে পতিত হন। যাহারা এ দেশে জয়েণ্ট স্টক কোম্পানির প্রথম সৃষ্টি করেন, রামগোপাল তাহাদের মধ্যে একজন ছিলেন। বাঙ্গালীদের মধ্যে তিনিই প্রথম বেঙ্গল চেকার অভ, কমার্স নামক সভার অন্যতম সদস্য নিযুক্ত হন(১৮৫০)। রামগোপালের আচার ব্যবহারগুলি প্রকৃত হিন্দুজনানুমোদিত ছিল না; এজন্য তাঁহার মাতার শ্রাদ্ধের সময় তাহাকে মহা সঙ্কটে পড়িতে হয়। সে সময়ে তিনি মহারাজ কমলকৃষ্ণ দেব বাহাদুরের কৃপায় সে সঙ্কট হইতে উদ্ধার প্রাপ্ত হন। বলা বাহুল্য, উক্ত মহারাজ রামগোপালের গুণের সবিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন। রামগোপাল মৃত্যুকালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০,০০০ ডিষ্ট্রিক্ট চ্যারিটেবল, সোসাইট নামক সভায় ২০,০০০ এবং তাঁহার যে সকল বন্ধুবান্ধব তাঁহার নিকট ঋণী ছিলেন, তাহাদিগকে ৪০,০০০ টাকা দান করিয়া যান।
প্রেসিডেন্সি কলেজের অন্যতম অধ্যাপক ‘প্যারীচরণ সরকার বহুদশী শিক্ষাতত্ত্বজ্ঞ ও লোকহিতৈষী বলিয়া সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতীয় শিক্ষকগণের শিরোমণি”ও “প্রাচ্য ভূখণ্ডের আর্ণল্ড” আখ্যায় অভিহিত হইতেন। তিনি “হিতসাধক” নামে একখানি বাঙ্গালা কাগজ এবং পরে ১৮৬৫ বা ১৮৬৬ অব্দে “ওয়েল-উইশার” (হিতৈষী) নামে একখানি ইংরেজী পত্র প্রকাশ করেন। বঙ্গ-