হাগেন নগরের “রয়াল সোসাইটী” জার্ম্মাণির “ওরিএণ্টাল সোসাইটী” আমেরিকার “ওরিএণ্টাল সোসাইটী,” সেণ্টপিটার্সবর্গ নগরের “ইম্পিরিয়াল য়্যাকাডেমি,” বার্লিন নগরের “রয়াল য়্যাকাডেমি” প্রভৃতি বিদ্বৎসমাজ তাঁহাকে স্ব স্ব সভার অবৈতনিক সদস্যরূপে গ্রহণ করিয়া নিয়োগপত্র প্রেরণ করেন। রুষিয়ার সম্রাট্ ও ডেন্মার্কের রাজা তাঁহাকে পদক পাঠাইয়া দেন। ইংল্যাণ্ডেশ্বরী ভিক্টোরিয়া তাঁহাকে নাইট শ্রেণীভুক্ত করিয়া ‘সার’ উপাধি প্রদান এবং উপঢৌকনস্বরূপ একটি সুন্দর স্বর্ণপদক প্রেরণ করেন। “রাজা বাহাদুর” উপাধি তিনি পূর্বেই পাইয়াছিলেন। রাধাকান্ত দেব বহু বৎসর যাবৎ জষ্টিস্ অভ্ পিস্ ও কলিকাতার প্রেসিডেন্সি ম্যাজিষ্ট্রেট রূপেও কার্য করিয়াছিলেন।
রাধাকান্ত দেবের অনেক গুণ ছিল। তিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্য ভাষায় সুপণ্ডিত, উদারনৈতিক, উন্নতিশীল এবং শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজের প্রসার সাধনে কার্যতঃ সাহায্যকারী ছিলেন। এই সকল গুণ থাকায় তিনি স্বকীয় কার্য্য ও দৃষ্টান্ত দ্বারা তাঁহার স্বদেশীয়দিগের জীবন ও চিন্তাস্রোতের গতি অনেকটা ফিরাইতে পারিয়ছিলেন। তাঁহার সমুদয় সহানুভূতি ও সুমার্জিত আচারব্যবহারের জন্য তিনি সকল শ্রেণীর লোকেরই সমাদর এবং ভক্তিশ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিলেন। সার লরেন্স পীল দীর্ঘকাল তাঁহার সহিত ঘনিষ্ঠতা করিয়া এবং তাঁহার আচারব্যবহার লক্ষ্য করিয়া বলিয়হিলেন, “রাধাকান্ত ভদ্রতার পূর্ণ আদর্শ এবং সে আদর্শ সর্বদা আমাদের অনুকরণীয়।”
বাঙ্গালা ভাষা, সাহিত্যের পরিপুষ্টি ও শ্রীবৃদ্ধিসাধন বিষয়ে যাত্রা, থিয়েটার ও ঐ শ্রেণীর অন্যান্য আমোদজনক ব্যাপার যে