পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০০
কলিকাতার ইতিহাস

বিস্তর সহায়তা করিয়াছে, সে কথা এখনও বলা হয় নাই। উহাদের ধারা ভারতবাসীদিগের রুচি ও আচার ব্যবহার বহুপরিমাণে পরিমার্জিত ও পরিপুষ্ট হইয়াছে! উহারা বৈষ্ণব ধর্ম্মের সারতত্ত্ব, রামায়ণ মহাভাতাদি উৎকৃষ্ট ধর্ম্মগ্রন্থসমূহের উপদিষ্ট মানবের কর্ত্তব্যনীতি এবং হিন্দু দর্শনশাস্ত্রের গভীর নাতিসমূহ জনসাধারণের মনে দৃঢ়রূপে অঙ্কিত করিয়া দিয়াছে। এমন কি, স্ত্রীলোকেরা এবং সুকুমারবয়স্ক বালক বালিকারাও উহা হইতে মহোপকার লাভ করিয়াছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্রাহ্মসম্প্রদায়ের এবং থিয়েটার সম্প্রদায়ের যত্ন চেষ্টায় আধুনিক বাঙ্গাল গানের এবং সকল গানের রাগ রাগিণী ও সুরের অনেক উন্নতি সাধিত হই। যাত্রার গানে এখন আর লোকের মন উঠে না, কাজেই সেগুলি বিদায় প্রাপ্ত হইয়াছে এবং মার্জিত ব্রাহ্মসঙ্গীত ও হালকা সুরের থিয়েটারের গান তাহাদের স্থান অধিকার করিয়া বসিয়াছে। ব্রাহ্ম সমাজের এবং থিয়েটারের চেষ্টায় বাঙ্গালা গানের যে এইরূপ রূপান্তর ঘটিয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই।

 এক সময়ে হিন্দুস্থানী ও মুসলমানী সঙ্গীতের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব ছিল। ভদ্র ও সৌখীন সমাজে ঐ সকল গানেরই সমাদর ছিল। ঐ সকল গান অতি উচ্চ অঙ্গের রাগ রাগিণীতে গীত হইত এবং সাধারণতঃ কালোয়াতী গান নামে পরিচিত ছিল। ব্রহ্মসঙ্গীত ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর গানের ভন বড় একটা আদর ছিল না। টপ্পা, গজেল প্রভৃতি সুমধুর সঙ্গীতগুলি মহারাজ রাজকৃষ্ণ বাহাদুরের অতি আদরের বন্ধু ছিল। তিনিই ঐ গুলিকে জনসাধারণের আদরণীয় করিয়া তুলেন। “রেইস্ এণ্ড রাইয়ত” পন্ত্রের সম্পাদক