পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নবম অধ্যায়।
৩০১

৺শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় উক্ত মহারাজের সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, তাহার মর্মার্থ এইরূপ;—

 “সঙ্গীতের প্রতি রাজকৃষ্ণের অসীম অনুরাগ ছিল। তিনি নিজে একজন বিখ্যাত গায়ক ও বাদ্যযন্ধু-বাদক ছিলেন।......গীতবাদ্যনিপুণ বহু ব্যক্তি রাজকৃষ্ণের নিকট প্রশংসা ও পুরস্কার লাভ করিবার আশায় সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দাক্ষিণাত্য হইতে আগমন করিত। তাহার এ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা ছিল বলিয়া তিনি এই বিদ্যার সুন্দর বিচার করিতে পারিতেন। সঙ্গীত বিদ্যাবিশারদ ফকির এবং সন্ন্যাসীরা অর্থস্পৃহাশূণ্য হইলেও কেবল সংসারের নীরসতা হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়া কিয়ৎকাল বিশুদ্ধ শান্তিসুখে অতিবাহিত করিবার নিমিত রাজকৃষ্ণের নিকট গমন করিতেন।”

কবি, পাঁচালি, কথকতা, আখড়াই প্রভৃতিও আমোদজনক ব্যাপার বলিয়া হিন্দুসমাজে প্রচলিত ছিল। এই সকল ব্যাপারের উন্নতিকল্পে ৺মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুর যে আয়াস স্বীকার ও যত্ন চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন, তাহার উয়েখ না কষিয়া থাকা যায় না। এ সম্বন্ধে শ্রীযুক্ত এন্, এন্, ধোষ লিখিয়াছেন;—

 “সুকুমার শিল্পের প্রতি, বিশেষতঃ সঙ্গীত বিদ্যার প্রতি তিনি যে অনুরাগ প্রদর্শন করিতেন, তাহা সর্ব্বপ্রকারে তাঁহারই যোগ্য। সুবিখ্যাত গীত-রচক হরু ঠাকুর ও নিতাই দাস তাঁহার আশ্রিত মধ্যে পরিগণিত ছিল। যে বাই-নাচকে ইংরেজরা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ আমোদ বলিয়া মনে করেন, সেই নাচ নবকৃষ্ণ কলিকাতার সমাজে প্রবর্তিত করেন এবং তাহাকে সর্বসাধারণের আরের বস্তু করিয়া তুলেন। কবির গান তদানীন্তন হিন্দু সমাজের প্রধান আমোদের বিষয় ছিল। উহাতে তৎকাল-রচিত কবিতা