দশ গ্রাস ধুলি প্রবেশ করিত, কারণ তৎকালে ঐ রাস্তায় জল দেওয়া হইত না।”
কলিকাতার সাহেব-সমাজ তৎকালে সৌখীন স্ত্রীপুরুষে পূর্ণ ছিল,—আমোদ প্রমোদেরও কিছুমাত্র অভাব ছিল না। বর্তমান সময়ের ন্য়ায় তখনও বিলিয়ার্ড একটি অতি প্রীতিদায়ক ক্রীড়া মধ্যে পরিগণিত ছিল। এক ব্যক্তি লিখিয়াছে;—“যে টাকার হার জিত হয়, তাহা শুনিলে শোণিত দারুণ উত্তপ্ত হইয়া উঠে। সাধারণ গৃহস্থালয়ে বিলিয়াড় খেলিবার বরটি এক প্রকার রাজভবন তুল্য। কফি-হাউসে৷৷৹ আট আনা দিলেই তুমি কয়েক ঘণ্টার অশ্য বাতির আলোকে সানুচর টেবিল পাইবে-প্রত্যেক কফি হাউসেই অন্ততঃ দুইটি করিয়া টেবিল আছে; সুতরাং স্ফুর্তিযুক্ত লোকেরা এখানেও ইউরোপীয়দিগের ন্যায় আমোদ প্রমোদ করিবার নানাপ্রকার সুযোগ সুবিধা পাইয়া থাকে। সেলবিটির ক্লব, একটা বিখ্যাত জুয়া খেলার আডডা ছিল, কিন্তু লর্ড কর্ণওয়ালিস্ অতি কঠোরতার সহিত প্রকাশ্যে জুয়া খেলা নিবারণ করিয়া দেন।” মিসেস ফ্রে তাস খেলা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন;—“চা খাওয়ার পর ১০টা পর্যন্ত হয় তাসে, না হয় গীতবাদ্যে কাটিয়া যায়, এবং ১০ টার সময় নৈশ ভোজন ব্যাপার সম্পন্ন হয়। তাস খেলার মধ্যে ফাইভ্, কার্ডলু সমধিক প্রচলিত, তাহাতে ১ টাকা হইতে ১০ টাকা পর্য্যন্ত বাজি ধরা হয়। এটা তোমার নিকট অত্যন্ত অধিক বলিয়া: বোধ হইতে পারে, কিন্তু এখানে উহা কেহ গ্রাহ্যই করে না। ‘ট্রি’ ‘ডিল’ ও ‘হুইষ্ট’ খেলায়ও খুব প্রচলন আছে, কিন্তু মহিলারা শেষোক্ত খেলায় অতি কদাচিৎ যোগদান করেন, কারণ উহাতে বাজির পরিমাণ সাধারণতঃ খুব অধিক না হলেও পুরুষদিগের