মধ্যে অনেক সময়ে বাজি অনেক চড়িয়া যায়, সুতরাং যাঁহারা কেবল আমোদের জন্য খেলায় বসেন, তাঁহারা এই আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হইয়া পড়েন, পাছে তাঁহাদের ভ্রমে অন্যান্য লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
সাপ-নৌকা নামক সুদীর্ঘ নয়নমনোহর তরণীতে বাদ্যকর সম্প্রদায় সহ প্রধানতঃ সায়ংকালে নৌকাবিহার করিবার প্রথা সমধিক প্রচলিত ছিল। সাহেবদের আপন আপন প্রমোণ-তরি ছিল; তাঁহার সময়ে সময়ে বন্ধুবান্ধবগণকে লইয়া ঐ সকল তরিতে চন্দ্রনগর বা শুকসাগরে প্রমোদবিহারে যাইতেন। ইংরেজ ও ওলন্দাজ উভয় জাতিই বন্ধুবান্ধবগণকে লইয়া সদলবলে আমোণ করিতে ভালবাসিতেন এবং গঙ্গার সুরম্য তীরে ও মনোহর বক্ষে ঐরূপ আমোদের অনুষ্ঠান করিতেন। ষ্টাভোরিনস ১৭৭০ অব্দে লিখিয়াছেন;—ময়ূরপঙ্খী নামে আর এক প্রকার নৌকা এ দেশে প্রচলিত আছে; উহার গঠনপ্রণালী অন্তি বিচিত্র। এই সকল নৌকা সাতিশয় দীর্ঘ ও স্বল্পবিস্তার হইয়া থাকে,—সময়ে সময়ে এক একখানি দৈর্ঘ্যে ১০০ ফুটেরও অধিক হয়, অথচ বিস্তারে ৮ ফুটের অধিক নয়। এই সমস্ত নৌকা ক্ষেপণি-সাহায্যে চালিত হয়, কোন কোন নৌকায় ৪০ জন দঁড়ী থাকে। পশ্চাৎস্থিত একটি সুবৃহৎ কর্ণ দ্বারা ইহাদের গতিমুখ নিয়মিত হয়; ঐ কর্ণ কখনও ময়ূরের, কখনও সর্পের, কখনও বা অন্য জন্তুর আকারে গঠিত হয়। একব্যক্তি দণ্ডায়মান থাকিয়া ও সময়ে সময়ে বৃক্ষশালা সঞ্চালন করিয়া ক্ষেপণ-চালকদিগকে পরিচালিত করে এবং তাহাদিগকে হাসাইবার বা অধিক পরিশ্রম করাইবার নিমিত্ত নানাপ্রকার অঙ্গ ভঙ্গি করিতে ও গল্প বলিতে থাকে। নৌকার পশ্চাদ্ভাগে এক স্থানে স্তম্ভোপরি লম্বিত একটি ছাদ থাকে; তরি-