পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশম অধ্যায়।
৩২৩

মধ্যে অনেক সময়ে বাজি অনেক চড়িয়া যায়, সুতরাং যাঁহারা কেবল আমোদের জন্য খেলায় বসেন, তাঁহারা এই আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হইয়া পড়েন, পাছে তাঁহাদের ভ্রমে অন্যান্য লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

 সাপ-নৌকা নামক সুদীর্ঘ নয়নমনোহর তরণীতে বাদ্যকর সম্প্রদায় সহ প্রধানতঃ সায়ংকালে নৌকাবিহার করিবার প্রথা সমধিক প্রচলিত ছিল। সাহেবদের আপন আপন প্রমোণ-তরি ছিল; তাঁহার সময়ে সময়ে বন্ধুবান্ধবগণকে লইয়া ঐ সকল তরিতে চন্দ্রনগর বা শুকসাগরে প্রমোদবিহারে যাইতেন। ইংরেজ ও ওলন্দাজ উভয় জাতিই বন্ধুবান্ধবগণকে লইয়া সদলবলে আমোণ করিতে ভালবাসিতেন এবং গঙ্গার সুরম্য তীরে ও মনোহর বক্ষে ঐরূপ আমোদের অনুষ্ঠান করিতেন। ষ্টাভোরিনস ১৭৭০ অব্দে লিখিয়াছেন;—ময়ূরপঙ্খী নামে আর এক প্রকার নৌকা এ দেশে প্রচলিত আছে; উহার গঠনপ্রণালী অন্তি বিচিত্র। এই সকল নৌকা সাতিশয় দীর্ঘ ও স্বল্পবিস্তার হইয়া থাকে,—সময়ে সময়ে এক একখানি দৈর্ঘ্যে ১০০ ফুটেরও অধিক হয়, অথচ বিস্তারে ৮ ফুটের অধিক নয়। এই সমস্ত নৌকা ক্ষেপণি-সাহায্যে চালিত হয়, কোন কোন নৌকায় ৪০ জন দঁড়ী থাকে। পশ্চাৎস্থিত একটি সুবৃহৎ কর্ণ দ্বারা ইহাদের গতিমুখ নিয়মিত হয়; ঐ কর্ণ কখনও ময়ূরের, কখনও সর্পের, কখনও বা অন্য জন্তুর আকারে গঠিত হয়। একব্যক্তি দণ্ডায়মান থাকিয়া ও সময়ে সময়ে বৃক্ষশালা সঞ্চালন করিয়া ক্ষেপণ-চালকদিগকে পরিচালিত করে এবং তাহাদিগকে হাসাইবার বা অধিক পরিশ্রম করাইবার নিমিত্ত নানাপ্রকার অঙ্গ ভঙ্গি করিতে ও গল্প বলিতে থাকে। নৌকার পশ্চাদ্ভাগে এক স্থানে স্তম্ভোপরি লম্বিত একটি ছাদ থাকে; তরি-