‘খানা’ দেওয়া হয়, এবং মেম সাহেবদের জন্য সায়ংকালে এটা সুন্দর ‘বল্’ নাচ ও নৈশ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। ইংরেজী বৎসরের প্রথম দিবসে (বর্ষ-প্রবেশ-উৎসবে) এবং রাজার জন্ম দিনোৎসবে এই সমস্ত ব্যাপার পুনরনুষ্ঠিত হইয়া থাকে। পর্তুগীজ ভৃত্যদিগের প্রভাবে যে এই ভাবের সঞ্চার হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই, কারণ ঐ জাতি ধর্মোৎসব সম্পর্কে আড়ম্বর ও জাঁক জমক দেখাইতে ভালবাসে। ১৭৮০ অব্দের বড়দিনে প্রাতঃকালে তোপ দাগিয়া উহার সূচনা করা হয়; গভর্ণর জেনারেল কোর্ট হাউসে একটি প্রাতর্ভোজ এবং মধ্যাহ্নে একটী উপাদেয় ‘খানা’ দেন; সেই খানার সময়ে লালদীঘির সুবৃহৎ তোপখানা হইতে রাজসম্মানার্থ অনেকগুলি তোপ দাগা হয় এবং প্রত্যেকাবার আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে এক এক 'লম্বা পেয়ালা লাল শরাব' পান করা হয়। সায়াহে একটী 'বল্’ নাচের অনুষ্ঠান হইয়া উৎসবের অবসান হয়।”
পলাশীর যুদ্ধের পূর্ব্বে কেবলমাত্র গভর্ণর এবং কাউন্সিলের প্রাচীনতম সমস্য গাড়ী[১] ব্যবহার করিতেন। এখানকার মত পাকা রাস্তা অতি অল্পই ছিল; তাহার উপর দিয়া সুখ স্বচ্ছন্দে ও আরামে গাড়ী হাঁকান যাইতে পারিত না। যে কয়েকটী রাস্ত ছিল, তাহা ধর্ম্মের ষাঁড়, উষ্ট্র ও হস্তীতে পুর্ণ থাকিত। উল্লিখিত আছে যে, ১৮০৫ অব্দ পর্য্যন্ত কলিকাতার রাস্তায় হস্তী
- ↑ পাদরি লঙ্ সাহেব বলেন,—“যে কিরাঞ্চি গাড়ীর অধুনা এত অনাদর..... তাহাই দেশীয় ভদ্রলোকদিগের সৌখীন যান ছিল; ইহা ইংরেজদিগের প্রাচীন পারিবারিক কোচ গাড়ীর অনুকরণ।” আর কয়েক প্রকার গাড়ী সে সময়ে প্রচলিত ছিল।