সহরের নানাস্থানে ভোজনালয় ও বাসবাটী স্থাপন করে। এই সমস্ত আড্ডায় বিলিয়ার্ড খেলিবার টেবিল রাখা হইত এবং বীয়ার, লেমনেড প্রভৃতি নামে নানাপ্রকার মদ্য বিক্রয় করা হইত।
কথিত আছে যে, সিরাজ উদ্দৌলা কর্তৃক কলিকাতা লুণ্ঠনের পূর্ব্বে তথায় একটি থিয়েটার ছিল; সিরাজ ও তাঁহার সৈন্যগণ পূর্ব্বতন দুর্গ আক্রমণ করিবার নিমিত্ত থিয়েটারটিকে তোপখানায় পরিগত করিয়াছিলেন। কিন্তু ১৭৭৫-৭৬ অব্দে সাধারণের চাঁদায় উহা পুনর্নির্ম্মিত হয়। চাঁদাদাদিগের মধ্যে ওয়ারেন হেষ্টিংস, জেনারেল মন্সন, রিচার্ড বাওয়েল, সায় ইলাইজা ইম্পে প্রভৃতির নাম পাওয়া যায়। সাধারণতঃ সখের অভিনেতারাই এই থিয়েটারে অভিনয়কার্য্য সম্পন্ন করিত। ইহার সহিত একটা বল্ নাচের ঘরও সংলগ্ন ছিল। নাচ সম্বল এক ব্যক্তি লিখিয়াছেন:—
“আমার নিজের কথা বলিতে হইলে, আমার যেন মনে হয়, ইউরোপীয় সুন্দরীদিগের গণ্ডদেশ হইতে স্বাভাবিক গোলাপী রঙ্, বিদূরিত হইয়া তৎপরিবর্তে যে মলিন পাণ্ডুবর্ণ দৃষ্ট হয়, তাহা অপেক্ষা তাম্রবর্ণ বদনের সমুজ্জ্বল দীপ্তি লক্ষগুণে শ্রেষ্ঠ; আর এখানকার ইউরোপীয় সুন্দরদিগের মুখের বর্ণ দেখিলে কবর হইতে উখিত ল্যাজেরসের কথা মনে পড়ে। ইংরেজ-রমণীরা অতিরিক্ত নৃত্যপ্রিয়; প্রখর-গ্রীষ্ম-তাপিত বঙ্গদেশের পক্ষে এরূপ অঙ্গচালনা একান্ত অনুপযোগী। আমার মতে, অপেক্ষাকৃত শীতল দেশের পক্ষে ইহা যতই উপযোগী হউক না কেন, যে দেশের লোক ভদ্রতার অনুরোধে যাহা অপরিহার্য্যরূপে আবশ্যক অতিরিক্ত বস্ত্রদ্বারা দেহ আবৃত করে না, সে দেশে এরূপ নৃত্যকে কতকটা অশ্লীল বলিরাই বোধ হয়। কল্পনানেত্রে ভাবিয়া দেখ দেখি, তোমার হৃদয়ের