প্রেমপুত্তলি গ্রীষ্মতাপে মৃতপ্রায়, প্রত্যেক অঙ্গ থর থর কাঁপিতেছে, প্রত্যেক প্রত্যঙ্গ শ্রমে বিকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে, বৃহদাকার স্বেদবিন্দুসমূহ তাঁহার বদনমণ্ডলে মুক্তাকারে সজ্জিত হইয়াছে, আর তাহার নৃত্য-সহযোগী প্রত্যেক হস্তে এক খানি মস্লিন্ রুমাল লইয়া তাহার মুখমণ্ডল মুছিয়া দিয়া অপার আনন্দ উপভোগ করিতেছে।”
লর্ভ ভ্যালেন্সিয়া ১৮০৩ অব্দে লিখিয়াছেন;—“কলিকাতায় ক্ষয়কাসের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব; আমার মনে হয়, তাহাদের অবিরাম নৃত্যই ইহার প্রধান কারণ,—দারুণ গ্রীষ্মের সময়েও তো এ নৃত্যের বিরাম নাই; আবার এইরূপ প্রবল অঙ্গচালনার পরই তাহারা বারান্দায় যায় এবং দেহে শীতল সমীরণ সেবন ও আদ্র বায়ু গ্রহণ করে।”
অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়টি যেরূপ গুরুতর এবং ইহার সকল তত্বের সম্যক্ অনুধাবন অধুনা যেরূপ আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে, অন্য কোন বিষয় সেরূপ নহে। দুঃখের বিষয় এই যে, এ বিষয়ের গুরুত্ব সাধারণতঃ স্বীকৃত হয় না। সর্ব্বপ্রকার কুসংস্কার-বর্জ্জিত হইয়া সামাজিক প্রশ্নসমুহের আলোচনা একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে। আমাদের সামাজিক গঠন এরূপ অবস্থায় উপনীত হইয়াছে যে, আমরা যত শীঘ্র এই সমস্ত বিষয়ের ও বর্ত্তমান অবস্থার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব, আমাদের সকলের পক্ষে ততই মঙ্গল।