পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩৪
কলিকাতার ইতিহাস

প্রেমপুত্তলি গ্রীষ্মতাপে মৃতপ্রায়, প্রত্যেক অঙ্গ থর থর কাঁপিতেছে, প্রত্যেক প্রত্যঙ্গ শ্রমে বিকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে, বৃহদাকার স্বেদবিন্দুসমূহ তাঁহার বদনমণ্ডলে মুক্তাকারে সজ্জিত হইয়াছে, আর তাহার নৃত্য-সহযোগী প্রত্যেক হস্তে এক খানি মস্‌লিন্ রুমাল লইয়া তাহার মুখমণ্ডল মুছিয়া দিয়া অপার আনন্দ উপভোগ করিতেছে।”

 লর্ভ ভ্যালেন্‌সিয়া ১৮০৩ অব্দে লিখিয়াছেন;—“কলিকাতায় ক্ষয়কাসের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব; আমার মনে হয়, তাহাদের অবিরাম নৃত্যই ইহার প্রধান কারণ,—দারুণ গ্রীষ্মের সময়েও তো এ নৃত্যের বিরাম নাই; আবার এইরূপ প্রবল অঙ্গচালনার পরই তাহারা বারান্দায় যায় এবং দেহে শীতল সমীরণ সেবন ও আদ্র বায়ু গ্রহণ করে।”


একাদশ অধ্যায়।
হিন্দু-সমাজ।

 অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়টি যেরূপ গুরুতর এবং ইহার সকল তত্বের সম্যক্ অনুধাবন অধুনা যেরূপ আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে, অন্য কোন বিষয় সেরূপ নহে। দুঃখের বিষয় এই যে, এ বিষয়ের গুরুত্ব সাধারণতঃ স্বীকৃত হয় না। সর্ব্বপ্রকার কুসংস্কার-বর্জ্জিত হইয়া সামাজিক প্রশ্নসমুহের আলোচনা একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে। আমাদের সামাজিক গঠন এরূপ অবস্থায় উপনীত হইয়াছে যে, আমরা যত শীঘ্র এই সমস্ত বিষয়ের ও বর্ত্তমান অবস্থার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব, আমাদের সকলের পক্ষে ততই মঙ্গল।