পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
কলিকাতার ইতিহাস।

মার্হাট্টা-খাত) হইতে উৎপন্ন, কারণ তৎকালে উহাই এই স্থানের একরূপ সীমা ছিল। ইহাও একান্ত অসম্ভব নয় যে, মার্হাট্টাখাতটি খনন করা হইলে পর গোবিন্দপুর, কলিকাতা ও সূতানুটী এই তিনখানি গ্রাম একমাত্র কলিকাতা নামে পরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল।

 কলিকাতা নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে যে সকল ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে, সেগুলি আমরা যতদূর অবধারণ করিতে পারিয়াছি, তাহা একে একে এ স্থানে উল্লেখ করিলাম। অনুসন্ধিৎসুগণের নিকট ইহা কৌতুকজনক হইলেও হইতে পারে। পরন্তু এ সম্বন্ধে নিশ্চিত জ্ঞানলাভের যখন কোনও উপায় নাই, তখন কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যুক্তিসিদ্ধ নয়। কখনও বা আশার সহিত কখনও বা সভয়ে, এরূপ কথিত হইয়া থাকে যে, কালে কলিকাতা বৃটিশ ভারত-সাম্রাজ্যের রাজধানী থাকিবে না। গঙ্গাপ্রবাহের গতিপরিবর্তনে এবং ঐ নদীতে ক্রমাগত চড়া পড়িতে থাকায় কলিকাতার অনেক গৌরব ও প্রয়োজনীয়তা কমিয়া যাইবে। মহামারী ও সংক্রামক ব্যাধিতে গৌড়ের ন্যায় ইহারও অধিবাসিবর্গের দশমাংশের বিনাশ সাধন করিবে। পরন্তু সার্দ্ধৈশতাব্দীর ইতিহাস সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা এক প্রকার অসম্ভব! দীর্ঘকালগত নানাপ্রকার জনপ্রবাদ ও ভাবসংযোগের কথা ছাড়িয়া দিলেও, নগরের যে সকল আভ্যন্তরিক উন্নতি সাধিত হইয়াছে, তাহাই অতীতের সহিত বিচ্ছেদসাধনের পক্ষে প্রায় অনুল্লঙ্ঘনীয় অন্তরায়রূপে দণ্ডায়মান হইবে। এই নগরে বণিকদিগের বিনিয়োজিত মূলধন, বহুদিনের দুর্গ, ডক (জাহাজ মেরামতের স্থান) ও জেটি (জাহাজ বাটা) গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক নির্মিত নানাপ্রকার আপিস ও সরকারী অট্টালিকা, রাজসংস্রব শুন্য সঙ্গতিপন্ন ব্যক্তিবর্গের বা কোম্পানি