সমূহের দ্বারা নির্মিত বহুমূল্য আবাসবাটী ও কার্যালয়সকল, মিউনিসিপাল-সমাজ কর্ত্তৃক সংসাধিত অট্টালিকাদির পরিবর্তন, সেনেট গৃহসহিত বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎসংসৃষ্ট বহুসংখ্যক উচ্চশ্রেণীর বিদ্যামন্দির, রেলওয়ে কোম্পানিসমুহ ও তাহাদের সুবিস্তৃত সুদর্শন অন্তিম ষ্টেশন ও প্রধান কার্যালয় সকল এবং মফঃস্বল-ভ্রমণ, কার্য্যবণ্টন ও তদাকার অন্যান্য বিষয়ের সরকারী ব্যবস্থার প্রণালী এই সমস্ত বস্তু মহাপ্রলয় ব্যতিরেকে বিলুপ্ত হইবার নহে, অথবা কোনও খামখেয়ালী শাসনকর্ত্তার খেয়ালমাত্রে অন্য ভূমিতে স্থানান্তরিত হইবার নহে। কলিকাতা বহুদিন হইতে এতদ্দেশে ইংরেজদিগের রাজধানী হইয়াছে, অন্য কারণ না থাকিলেও কেবল এই একমাত্র কারণে কলিকাতা বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানী থাকিবে।
কলিকাতা বাঙ্গালার ষষ্ঠ রাজধানী কথিত হইয়াছে। গৌড় নগর সর্বপ্রথম ও অতি প্রাচীন রাজধানী বলিয়া; উল্লিখিত। উহা মালদহ জেলায় গঙ্গার তীরেই অবস্থিত ছিল, কিন্তু গঙ্গার সে প্রবাহ এক্ষণে গৌড় পরিত্যাগ করিয়া তাহা হইতে বহুদূর দিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। উহার অক্ষান্তর ২০°৫২‘উত্তর এবং দ্রাঘিমান্তর ৮৮°১০'পূর্ব। নগর ও তাহার উপনগরের আয়তন ২০ হইতে ৩০ বর্গ মাইল অনুমিত হইয়া থাকে। এই নগরের উৎপত্তি বিবরণ অজ্ঞান তিমিরাচ্ছন্ন এক্ষণে উহার অনুমান করা ভিন্ন গত্যন্তর নাই; পরন্তু একথা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিয়া থাকেন যে, খৃষ্টের জন্মের ১০০ বা ৮০০ বৎসর পূর্বে ইহার অভ্যুদয় ঘটিয়াছিল। পাদরী লঙ সাহেব বলেন যে, এই নগর ২০০ বৎসর সমৃদ্ধিশালী ছিল। টমাস টুইনিঙ নামক একজন লেখক বলেন —“সমস্ত ভারতবর্ষেই অতি পুরাকালের অকাট্য নিদর্শনসমূহ বিদ্যমান