পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ অধ্যায়।
৪৭

এমন একটি স্থান নাই, যাহা সমন্ত অবস্থা বিবেচনা করিয়া দেখিলে ইহার ন্যায় অনুপযুক্ত বোধ হয়।” পাদরি লঙ সাহেব বাণিজ্যের হিসাবে কলিকাতায় অবস্থান যার পর নাই সুবিধাজনক বিবেচনা করিয়াছেন। তিনি বলিয়ানে-“এই একটি প্রশ্ন অনেক সময়ে উঠিয়াছে যে, হুগলী নদীর দক্ষিণ পার যখন ফরাসীদিগের, দিনেমারদিগের ও ওলন্দাজদিগের নিকট অধিকতর স্বাস্থ্যকর বলিয়া প্রতিপন্ন হইল, তখন কলিকাতা সেই পারে স্থাপিত হইল না কেন? আমার মতে ইহার প্রধান কারণ এই, বাম পারের জল দক্ষিণ পার অপেক্ষা অধিকতর গভীর ছিল, যে সকল তন্তুবায় কোম্পানিকে কাপড়-চোপড় বিক্রয় করিত, তাহাদের অধিকাংশেরই বাস বাম পারে ছিল, এবং হাবড়ার পারের ন্যায় এ পারে মার্হাট্টাদিগের উৎপাত তত অধিক ছিল না। পাদরি লঙ, সাহেব এ বিষয়টি যে ভাবে দেখিয়াছেন, ওয়ালটার হেমিল্টনও বহুদিন পূর্বে ১৮১৫ অব্দে উহা ঠিক সেই ভাবেই দেখিয়াছিলেন। তিনি বলেন;—“কলিকাতা হইতে দেশের অভ্যন্তরভাগে নানা স্থানে নৌ-চালনের বিলক্ষণ সুবিধা আছে, বিদেশের আমদানি মাল গঙ্গা ও তাহার তোয়দাসমুহ দিয়া হিন্দুস্থানের উত্তরাংশের নানা স্থানে অনায়াসে লইয়া যাওয়া যাইতে পারে, এবং মফঃস্বলের মূল্যবান্ উৎপন্ন দ্রব্যসমুহও পরে কলিকাতায় আনান যাইতে পারে।” কলিকাতা ভাগীরথীর পূর্ব্ব অর্থাৎ বাম তীরে অবস্থিত। ইহার দ্রাঘিমান্তর ৮৮°২৩'৫৯” পূর্ব এবং অক্ষান্তর ২২°৩৪'২” উত্তর। ইহা সমুদ্র হইতে ৮০ মাইল দূরবর্তী। ১৯০১ অব্দে যে লোকসংখ্যা গণনা করা হয়, তাহাতে ইহার অধিবাসি-সংখ্যা