গিয়াছে। আর ভূপৃষ্ঠের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গভীরতার যে সকল স্তর দৃষ্ট হয়, তাহাদের প্রকৃতি ও ব্যবস্থার বিষয় পয্যালোচনা করিলে এই অনুমান অমুলক বলিয়া বোধ হয় না! যথা, ভূপৃষ্ঠ হতে ৮০ ফুট নিয়ে এক স্তর পীট(গলিত উদ্ভিজ্জবিশেষ।) আবিষ্কৃত হইয়াছিল, এবং দেখা গিয়াছিল যে, সেই পীটের সহিত মাদ্রাজী শসাররবাজ, শর্করা-তৃণর পত্র প্রভৃতি ছিল। আর ডাক্তার লুকার বলেন, -এই সকল দ্বারা বুঝা যায় যে কলিকাতার ভূপৃষ্ঠের অবস্থা এক্ষণে যেরূপ দৃষ্ট হয়, ইহা সঞ্চয়কলে তাহা হইতে ভিন্ন অন্য এক প্রকার অবস্থা ছিল, এবং নদীমুখের জলও বর্তমান সময়াপেক্ষা অনেকাংশে বিশুদ্ধতর ছিল। ১৫৯ ফুট নিয়ে পীতবর্ণ শিরা-সমতি এক প্রকার অনমনীয় আঠাল কাদা দৃষ্ট হইয়াছিল, এবং ১৯৬ ফুট নিম্নে এক প্রকার লৌহ-মিশ্রিত আঠাল কাদা, পাওয়া গিয়াছিল; ৩৪০ ফুট ও পুনরায় ৩৫০ ফুট নিয়ে একখণ্ড প্রস্তরীভূত অস্থি উত্তোলিত হইয়াছি, সেটা কোনও কুকুরের পায়ের জানুসন্ধির উপরিভাগের অস্থি বলিয়াই অনুমান হইয়াছিল। তদ্ভিন্ন ৩২ ফুট নিম্নে অন্যান্য অস্থিও পাওয়া গিয়াছিল। “
“আবার অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে, দেশের প্রাকৃতিক অবস্থা আমরা এক্ষণে যেরূপ দেখিতেছি, তাহা হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকার ছিল সন্দেহ নাই। কারণ তৎকালে হুগলী নদীর অস্তিত্ব ছিল না, কয়েক শতাব্দী পুর্ব্বে গঙ্গার প্রবাহিত এক্ষণকার ন্যায় পদ্মা দিয়া প্রবাহিত হইত না; নদীয়া নবদ্বীপ: ত্রিবেণী প্রভৃতির নিম্ন দিয়া প্রবাহিত হইয়া সমুদ্রে পতিত হইত; যাকে এক্ষণে টলির নালা বলে, তাহাকেই এদ্দেশীয়রা প্রাচীন গঙ্গার গর্ভ বলিয়া নির্দেশ করে, এবং তাহাকে বুড়ী গঙ্গা আদি গঙ্গা বলে গঙ্গার