সময়ে রোগী মারা যাইবে, তা তিনি পূর্বেই সঠিকরূপে বলিয়া দিতে পারিতেন, কারণ সাধারণতঃ ভাটার সময়েই প্রায় তাহা ঘটিত। সে যাহা হউক এটা নিশ্চিত অবধারিত হইয়াছে যে, ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রগ্রহণসময়ে যে একটা ভয়ঙ্কর ব্যাধি উপস্থিত হইয়া বঙ্গদেশে ৩০,০০০ কৃষ্ণকায় ও ৮০০ ইউরোপীয়ের প্রাণ হরণ করে, সেই ব্যাধির পর যে সকল ইংরেজবণিক ও অন্যান্য লোক 'বার্ক’ (সিঙ্কোনা) খাওয়া ছাড়িয়া দিয়াছিল, তাহারা ঐ রাগে পুনর্ব্বার আক্রান্ত হইয়াছিল। গ্রহণের দিনে এই জ্বর প্রায় সকল রোগীকে আক্রমণ করিত; সুতরাং গ্রহণের সহিত যে ইহার সম্বন্ধ আছে, সে বিষয়ে সন্দেহ করিবার কিছু মাত্র কারণ নাই।”
কলিকাতায় কলেরা-রোগের প্রথম আবির্ভাবশাল সম্বন্ধে ভাক্তার লিও বলেন;—"১৭৬১ অব্দে যে মহামারীতে বঙ্গদেশে ৩,০০০ কৃষ্ণকায় ও ৮০০ ইউরোপীয় কালগ্রাসে পতিত হয়, সেই রোগে দেখা গিয়াছিল যে, পুনঃ পুনঃ এক প্রকার সাদা আঠাল স্বচ্ছ শ্লেষ্মা বমন এবং তাহার সহিত অবিরত ভেদ, ইহাই অতীব মারাত্মক লক্ষণস্বরূপে বিবেচিত হইত।” কলেরার চিকিৎসা ছিল, বমনকারক, ঔষধ, অহিফেনঘটিত নিদ্রাকারক ঔষধ, আমোনিয়া দ্রব্য, আর জল; উহাতে রোগী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যাইত। মোসিয়র ডেলন ১৯৯৮ অব্দে Indian mordeoli নামক এক প্রকার রোগের কথা লিখিয়া ছেন; উহার সহিত ভেদ বমন থাকে, এবং উহাতে শোকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হয়; অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে লোহা পুড়াইয়া লাল করিয়া পাদগুলকে ছেকা দেওয়া এবং গোলমরিচের সহিত কাঁজি খাওয়ান সবিশেষ