পর মিরজাফর বাঙ্গালার মসনদে প্রতিষ্ঠিত হন, এবং সিরাজুদ্দৌলা। ১৭৫৬ ও ১৭৫৭ সালে কলকাতা লুণ্ঠন করায় তত্রত্য বণিকগণের ও অপরাপর অধিবাসীদিগের যে ক্ষতি হইয়াছিল, তাহার পরি- পূরণার্থ সন্ধির নিয়মানুসারে প্রচুর অর্থ প্রদান করেন! তাহাতে ইংরেজরা ৫,০০,০০০ পাউণ্ড, হিন্দু ও মুসলমানগণ ২,০০, ০০ পাউণ্ড, এবং অর্ম্মাণীরা ৭০,০০০ পাউণ্ড ক্ষতিপূরণ স্বরূপ প্রাপ্ত হন। এই সম হইতে কলিকাতার ইতিহাস সবিশেষ কৌতুক বহ হইয়া উঠে। তদবধি নগরের শ্রীবৃদ্ধি বেশ সমানভাবে ও অব্যাহতরূপে চলিয়া আসিতেছে। যে জলাময় স্থান এক সময়ে নিবিড় জঙ্গলাকীর্ণ ও বন্যপশুর আবাসস্থল ছিল, তাহাই বর্তমানে বহু রাজপথসঙ্কুস সুন্দর ‘স্থানে পরিণত হইল। পুরাতন কেল্লা পরিত্যক্ত হইল, এবং তাহার স্থানে ‘কষ্টম হাউস’ ও অন্যান্য সরকারী অট্টালিকা নিষ্মিত হইল। ক্লাইভের অভিপ্রায়মত বর্তমান ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নিম্মিত হইল। ইংরেজরা প্রথমে বর্তমান ডালহাউসি স্কোয়ার হইতে টাঁকশাল পর্য্যন্ত নগরের এই মধ্য অংশে বাস করিতেন, তাহারা এক্ষণে তথা হইতে ক্রমে ক্রমে উঠিয়া চৌরঙ্গি ও তনিকটবর্তী স্থানে যাইয়া বাস করিতে লাগিলেন, এবং দেশীয় অধিবাসীরা গোবিন্দপুর ও তৎসন্নিহিত গ্রামসমুহ (যে স্থানে বর্তমান দুর্গ নির্মিত হইয়াছে) হইতে নগরের উত্ত রাংশে উঠিয়া গেলেন।
পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
কলিকাতার ইতিহাস।