অস্বাস্থ্যকর গ্রাম ছিল, তাহাই এক্ষণে স্কুল, কলেজ, প্রভৃতি বিদ্যামন্দির, বিবিধ লোকহিতকর অনুষ্ঠানের সভাসমিতি ও কার্যালয়, নানা প্রকার নয়ন-রঞ্জন মনোহর হাবলী, জনসংখ্যার ‘অতি দ্রুত বৃদ্ধি, শিল্প ও বাণিজ্যের ক্রমোন্নতি, এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যোন্নতির কল্যাণে একটি বিশিষ্ট সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্যশালী মহানগরে পরিণত হইয়াছে। কলিকাতার প্রথম অবস্থায় যৎকালে উহা মনুষ্য অপেক্ষা সরীসৃপগণেরই বাসভূমি হইবার অধিকতর উপযুক্ত ছিল, সেই অবস্থার কথা স্মরণ রাখিয়া, তৎপর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উহাতে কিরূপ বিলাসিতা, ঐশ্বর্য্য ও আড়ম্বরের বৃদ্ধি হইয়াছে, কিরূপ সুপ্রশস্ত প্রস্তরনির্ম্মিত রাজপথসমূহ চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া উহার সৌষ্ঠব সাধন করিয়াছে, এবং কিরূপ মনোহর অট্টালিকাসমুহ নির্মিত হইয়া উহার প্রাসাদ-নগর” নামের সার্থকতা সাধন করিয়াছে, তাহা ভাবিলে বিস্ময় বহাল হইতে হয়।
তুলনায় আলোচনা করিলে হারুন-আল-রশিদের নগরকেও ইহার নিকট পরাজয় স্বীকার করিতে হয়। বাঙ্গালার মধ্যে কলি কাতাই এক্ষণে সর্বাপেক্ষা স্বাস্থ্যকর স্থান। পল্লীগ্রামের ম্যলেরিয়াপীড়িত লোকেরা রাজধানীর ব্যয়ভার বহন করিতে সমর্থ হইলে, কলিকাতাতেই বাস করিয়া থাকেন। সঙ্গতিশালী জমিদার, সমৃদ্ধ ব্যবহারাজীব, ডাক্তার ও রাজকর্মচারী সকলেই কলিকাতায় বাসস্থান নির্মাণ করি.ত ব্যস্ত, কলিকতায় বাসাটা নির্মাণ করা যেন জীবনের একটা প্রধান কর্তব্য হইয়া দাঁড়াইয়াছে। আর তাহাদের মধ্যে যদি কেহ পল্লীগ্রামের পৈতৃক বাসবাটা একেবারে পরিত্যাগ করিতে অনিচ্ছুক হন, তাহা হইলে তিনি কলিকাতার বাড়ীটীকে| অজ্ঞতঃ গ্রীষ্মবাসরূপে ব্যবহার করেন। শরৎকালে কলকাতা