টাকা প্রাপ্ত হন। তাঁহারাই মধ্য এসিয়ায় বাণিজ্যের পথপ্রদর্শক; উক্ত বাণিজ্যের এখনও অনেক বাকী,ভবিষ্যতে উহার বিস্তর আশা ভরসা আছে।”
গ্রীকজাতি ১৭৫০ অব্দে বা তৎসমকালে কলিকাতায় আগমন করেন।
ভারতবর্ষে পর্ত্ত গীজ জাতির অবস্থা কিরূপ ছিল, এক্ষণে তাহাই দেখা যাউক। হ্যামিল্টন সাহেব বলেন, এক সময়ে পর্তুগীজদিগের ভাষা এরূপ প্রভাবসম্পন্ন হইয়া উঠিয়ছিল যে, ইউরোপীয়দিগের মধ্যে অধিকাংশ লোকই পরস্পরের সহিত সাধারণভাবে কথোপকথনের ক্ষমতা লাভ করিবার নিমিত্ত পর্ত্তুগীজ ভাষা শিক্ষা করিতেন। উহা তৎকালে ভারতবর্ষের lingua frauck[১] হইয়া উঠিয়াছিল। ইউরোপীয়দিগের মধ্যে পর্ত্তুগীজরাই সর্ব্বপ্রথমে ভারতবর্ষে আসিবার চেষ্টা করে এবং তাহাতে কৃতকার্য হয়। কলম্বস ভারতবর্ষে আসিবার অভিপ্রায়েই পর্ত্তুগিজ হইতে যাত্রা করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি ভারতের পরিবর্তে আমেরিকায় যাইয়া উপস্থিত হন। তাহার পাঁচ বৎসর পরে, ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে, ভাস্কো ডা গামা উত্তমাশা অন্তরীপ ঘূরিয়া কালিকিটে আগমন করেন। কিন্তু তাঁহার পূর্ব্বে আর একজন পর্ত্তুগীজ কালিকটে আসিয়াছিলেন। তাহার নাম কভিলহাম। তিনি ১৪৮৭ অব্দে স্থলপথে আসিয়াছিলেন। আরবেরা নবাগতের প্রতি অত্যন্ত শত্রুতা প্রকাশ করিতে লাগিল। দিল্লীর সিংহাসনে তৎকলে লোডিবংশীয় একজন পাঠানসম্রাট প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বাঙ্গালার শাসনকর্তাও পাঠানজাতীয়
- ↑ সে মিশ্র ভাষায় ইউরোপীয়েরা প্রাচ্য জগতে কথোপকথন করে।