ইংরেজরা বুঝি কাপড় কাচাইবার জন্য ধোপা চাহিতেছেন; তদনুসারে তাহারা কয়েকজন রঞ্জককে পাঠাইয়া দিলেন। ঐ সকল ধোপা সর্বদা ইংরেজদিগের নিকটে থাকিয়া এবং তাঁহাদের কথা শুনিয়া কঁহাদের ভাষা কতক কতক বুঝিতে লাগিল। কথিত আছে যে, এতদ্দেশদিগের মধ্যে থোপারাই প্রথমে কিছু কিছু ইংরেজী শিথিয়াছিল। রতন সরকার নামক একন এদেশীয় ধোপাকে ইংরেজরা প্রথম দোভাষী নিযুক্ত করেন।
জব চার্নক নতুন উপনিবেশ স্থাপন করিয়া তাহাতে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় লোক অনাইয়া বাস করাইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তিনি কিছুদিন বাঁচিয়া উহা যেমন জাঁঁকিয়া উঠে, তাহা দেখিয়া যাইতে পারেন নাই, কারণ তিনি তাহার অল্প দিন পরেই ১৩১২ অব্দের জানুয়ারি মাসে, মৃত্যুমুখে পতিত হন। তিনি যে স্থানে সমাহিত হইয়াছিল, তাহার উপর এটি সুন্দর সমাধিস্তম্ভ নির্মিত হইয়াছে। ঐ সমাধিস্তম্ভটি অদ্যপি পুর্ব্বতন কালেক্টরী কাছারির ঠিক সম্মুখস্থ পুরাতন সেণ্ট জনস ক্যাথিড্রাল নামক গির্জ্জার প্রাঙ্গণে বিদ্যমান আছে। পরন্তু ইহা কলিকাত বাসীদিগের পক্ষে বড়ই নিন্দার কথা যে, ঐ সমস্ত ব্যতীত এই মহানগরীর স্থাপয়িতার আর কোনরূপ স্মৃতি নাই।ষ্টার্ণডেল সাহেব বলে, আমাদের ছোট বড় সকল রকম রস্তাতে অপেক্ষাকৃত অনেক সুপ্রসিদ্ধ লোকের নামও অদ্যপি সংযুক্ত রহিয়াছে, কিন্তু এমন একটি রাস্তা, প্রমোদ্বাদ্ব্যান বা স্মৃতিস্মম্ভ নাই, যাহাতে বঙ্গদেশে বৃটিশশক্তি প্রবেশের পথপ্রদর্শক ও কলিকাতার প্রতিষ্ঠাতা