বড়ই অস্বাস্থ্যকর হইয়া পড়ে। কিন্তু কতকালে ম্যালেরিয়ার চিহ্নও থাকে না এবং সে সময়ে নানাপ্রকার মনোমুগ্ধকর প্রলে। ভনও উপস্থিত হয়। আম্মানী, ইহুদী, পাশী, মাড়োয়ারী, ফরাসী, গ্রীক, জর্ম্মান, চীনাম্যান, সকল জাতীয় লোেকই বাণিজ্যোলক্ষে কলিকাতায় দৃষ্ট হয়, এবং তাহাদের মধ্যে অনেকেই এখানে স্থায়িরূপে বসবাস করিয়াছে। বর্তমান সময়ে কলিকাতাকে ইউরোপীয় নগর বলিলেও হয়, মাড়োয়ারী নগর বলিলেও হয়, আবার বাঙ্গালী নগর বলিলেও হয়।
কোন মহানগর কিরূপে সংস্থাপিত হইল এবং কিরূপেই বা তাহার ক্রমোন্নতি ও পরিণতি সাধিত হইল, ইতিহাসপাঠকের নিকট তাহা প্রমাঢ় কৌতুহলের বিষয়, সন্দেহ নাই নগরের ক্রমান্নতি প্রদর্শন করিতে হইলে তাহার অধিবাসিবর্গের সামাজিক জীবন, নৈতি! চিত্র ও ধর্ম্ম, তাহার সূক্ষশিল্প ও শ্রমশিল্প এবং তাহার বাণিজ্য ও বিদ্যাশিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে মনোযোগ করিতে যে কোনও নগরের ইতিহাস সূক্ষ্মরূপে পর্যালে চন’ করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে সকল ঘটন। দীর্ঘকাল লোকের স্মৃতিপট ইতে অপনীত হইয়াছে বা যে গুলির কথা এখন আর লেকে ভাবে না, তাহাদের প্র: কিরূপ গভীর ও বহুদূরব্যাপী, এবং ইহাও দেখিতে পাওয়া যায় যে, যে সকল কারণ আপাতদৃষ্টিতে অতি সামান্য ও অকিঞ্চিৎকর বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহা হইতেও কেমন অতীব গুরুত্ববিশিষ্ট ফলের উদ্ভব হইয়াছে।
ইংরেজের অদম্য উৎসাহ, দূরদর্শিতা, সাহসিকত ও অধ্যবসারে সমুল নিদর্শন কলিকাতার ইতিহাসের পৃষ্ঠায় জ্বলন্ত অক্ষরে দুরপনেরপে অঙ্কিত রহিয়াছে। ইংরেজের অনাধগম্য