মাজার বিগত শতাব্দীতে মৎস্যবিক্রয়ের একটা প্রধান স্থান বলিয়া বিখ্যাত ছিল। বড়বাজার কলিকাতার অতি প্রাচীন ইতিবৃত্তে একটী অতি প্রধান বাণিজ্যস্থান বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে।
লোকে বলে, চিৎপুর রোডের পূর্ববর্তী নগরের যে অংশে যে কয়দিগের বাস, তা আধুনিক। দেবী চিত্তেশ্বরীর নামানুসারে চিৎপুর ও তাহা হইতে চিৎপুর বোড় নাম হইয়াছে। চিতোরীর মন্দিয় অদ্যাপি চিৎপুরে বিদ্যমান আছে। প্রাচীনকালে ঐ স্থানে নরবলি হইত। দেশীয় সকল শ্রেণীর লোকেরই দৃঢ় বিশ্বাস যে, চিত্তেশ্বরী জাগ্রত দেবতা; এজন্য অদ্যাপি অনেকে আপন আপন মনস্কামনাসিদ্ধির নিমিত্ত চিত্তেশ্বরীর নিকট নানাপ্রার মানসিক করে ও পূজা দেয়। কলিকাতার মধ্যে এই রাস্তাটীই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং কালীঘাট হইতে মুর্শিদাবাদ পর্যন্তু যে রাস্তা বিস্তৃত হইয়াছে, তাহারই এক অংশ।
১৭৪২ অব্দে সিমলা ও মির্জাপুরের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। এই দুটি স্থান ধানক্ষেত ও পচ পুকুরে আচ্ছন্ন ছিল, এবং তাহা হইতে স্বাস্থ্যের হানিকর বিষম দুর্গন্ধ বাষ্প উত্থিত হইত। সিমসা চোর জুরাগের প্রভৃতি দুবৃর্ত্তগণের আড্ডা বলিয়া বিখ্যাত ছিল। এমন কি, ১৮২৮ অব্দ পর্যন্ত সন্ধ্যার পর কোনও ব্যক্তি অর্থলোভেও সিমলার পথ দিয়া চলিতে, স্বীকৃত হইত না। এক সময়ে এই স্থানে বহু তাঁতির বাস ছিল, এবং সিমলার কাপড় সুশোভন-পরিচ্ছদপ্রিয় ভদ্রসমাজের সবিশেষ আদাদের সামগ্রী ছিল। যেস্থানে এক্ষণে কর্ণওয়ালিস স্কোয়ার ও সারকুলার কেনাল অবস্থিত, তাহা অনেক দিন পশু হত্যার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল; ঐ স্থানে অনেক খুন হইয়া গিয়াছে।