পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা কল্পলতা 1 তৎসংলগ্ন অতিরিক্ত ৬ বিঘা জমি সেন্ট জন কাথিড্রাল গীর্জা নির্মাণের নিমিত্ত প্রদান করেন। এই স্থানে পূর্ধ্বতন দুর্গের অস্ত্রালয় ছিল। সে সময় ইহার মূল্য ৪৫০০০ টাকা নিরূপিত হয়। তিনি এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেহালা হইতে কুলপি পর্যন্ত অন্যূন ১৬ ক্রোশ পথ নিৰ্মাণ করিয়া দেন-তাহা এখন রাজার জাঙ্গাল নামে খ্যাত আছে। ইহা ব্যতীত শােভাবাজার রাজবাটীদ্বয়ের মধ্যবর্তী বজ্ৰ নিৰ্ম্মাণেও তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন, কারণ ঐ বক্সের জন্য সমধিক মূল্য দিয়া ভূমি ক্রয় করিতে হইয়াছিল। তিনি জীবজ্ঞানে স্বীয় ব্যয়ে প্রতি বৎসর ঐ পথের সংস্কার করাইতেন। রাজানবকৃষ্ণইং ১৭৮০ অব্দেবর্ধমান জেলার বন্দোবস্তিভার গ্রহণপূৰ্ব্বকমহারাজা তেজচন্দ্ৰবাহাদুরের অপ্রাপ্তব্যবহারকাল পর্যন্ত তাঁহার বিষয় রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত হন। তাহাতে স্বীয় কোষহইতে ৮,৭৪,৭২০ টাকা প্রদানপূর্বক বর্ধমানাধিপতির অধিকার রক্ষা করিয়া পরিশেষে ক্রমে ক্রমে তাহা পরিশােধ করিয়া লন। তিনি স্বীয় নৌপাড়া নামক তালুক কোম্পানীকে প্রদানপূর্বক তাহার পরিবর্তেসুতালুটি, হোগলকুড়িয়া ও বাগবাজার প্রভৃতি কোম্পানীর সাবেক জমিদার পুরুষানুক্রমে ভােগাধিকার করিবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।ইহাতে এদেশীয় ধনীমাত্রই প্রায় রাজানবকৃষ্ণের প্রজা হওয়ায় অপমানজ্ঞানে একবাক্যে তাহার বিরুদ্ধে গভর্ণমেন্টে এই অভিযােগ উপস্থিত করিলেন যে, নূতন ভূস্বামী তাহাদিগের উপর অত্যন্ত অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছেন। অতএব তাহারা তাহার নিকট কর প্রদান না করিয়া পূৰ্ব্বৎ গভর্ণমেন্টের নিকট তাহা প্রদান করিবার প্রার্থনা করেন। সে সময়ে রেভেনিউ বাের্ডের অধ্যক্ষগণ সকলেই কেন্সিলের মেম্বর হওয়ায় প্রার্থীদিগের ধৃষ্টতা বুঝিয়া এই আদেশ বিধানকরিলেন; তাঁহাদিগের অনিবাৰ্য ইচ্ছা এই যে প্রার্থকেরা রাজা

৮২

৮২
৮২