পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। 'ed রায় দেখিলেন, নিজের জমীদারীর কেন্দ্রস্থলে না থাকিলে, জমাদামী শাসনও অসম্ভব হইয় পড়ে। এজন্য তিনি নিমতা-বিরাট ত্যাগ করিয়া, কালীঘাটের প্রায় তিনক্রোশ দক্ষিণ পশ্চিমে, ভাগিরথীর অপর পারে বড়িশাগ্রামে আসিয়া বাস করিলেন । ইহা হইতে দেখা যাইতেছে, যে ১৭১৬ খ্ৰীঃ অব্দের পর হইতে, সাবর্ণ রায়-চৌধুরী জমাদারদের বড়িশায় বাস আরম্ভ হইয়াছে। বড়িশার সাবর্ণ-চৌধুরীদের কথা, এত বিশদভাবে বলিবার অনেক কারণ আছে। প্রথমতঃ–কালীঘাটের কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা, কালীমূর্তির প্রথমবিস্কার ইত্যাদি ব্যাপারের সহিত, তাহদের নাম বিশেষ ভাবে জড়িত । দ্বিতীয়ত:—ইষ্ট-ইণ্ডির কোম্পানী, ভবিষ্যতে যে সমস্ত পরগণার স্বত্ব লাভ করেন, তাহার সহিত সাবর্ণদের বিশেষ সম্পর্ক। কি সুত্রে, কেশবরাম চৌধুরী, নিমতা ত্যাগ করিয়া বড়িশায় আসেন, তাহা উল্লিখিত ঘটনা হইতে প্রমাণ হইতেছে। এক্ষণে আমরা প্রাচীন কালীঘাটের প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে, অন্যান্ত কথার অবতারণা করিব । খ্ৰীষ্টের অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে, কালীঘাট নিশ্চয়ই একটা সৰ্ব্বজন জানিত স্থান হইয়াছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে, অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ-ব্যাপী সময়ের মধ্যে,অতি ধীরে ধীরে, এই উন্মতি সংসাধিত হয়। উলা নিবাসী, বিপ্রদাস মুখোপাধ্যায় নামক জনৈক কবি –“গঙ্গীভক্তি-তরঙ্গিণী” নামক কাব্য রচনা করেন । ইহাতে তিনি কালীঘাটের যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে বোধ হয়---কালীঘাটের সে সময়ে অতি সমুদ্ধিশালী অবস্থা । গঙ্গীভক্তি-তরঙ্গিণীতে লিখিত আছে— চলিল দক্ষিণ দেশে, বালি ছাড়া অবশেষে, , উপনীত যথ। কালীঘাট । দেখেন অপূৰ্ব্ব স্থান, পূজা হোম বলিদান, দ্বিজগণে করে চণ্ডী পাঠ ॥ অfবার ষোড়শ শতাবীর শেষভাগে রচিত, কবিকঙ্কণের বর্ণনার আমরা দেখিতে পাই— বালুঘাট এড়াইল, বেণের নন্দন, কালীঘাটে গিয়া ডিঙ্গা, দিল দরশন। তীরের প্রমাণ যেন চলে তরীবর, তাহার মেলানি রাহে মাইননগর ॥ উল্লিখিত দুইটা কবিতা হইতেই প্রমাণ হইতেছে-কালীঘাট উক্ত > 8