পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। S8"> দোলমঞ্চের অভাব উপলব্ধি করিয়া ১৮৫৮ খৃঃ অব্দে তাহা প্রস্তুত করাইয়া দেন । , কালীর পুরীর বাহিরে, তামরায় বিগ্রহের মন্দিরের পশ্চিমে, আর একটা গুণমরায়-বিগ্রহ বিরাজ করিতেছেন এবং বাহিরের এই বিগ্রহ-মন্দিরের প্রবেশদ্বারের উপর “পুরাতন শু্যামরায়” বলিয়া লেখা আছে। ইহা হালদার মহাশয়দিগের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ নহে। এইরূপ জনরব—যে এই স্যামরায়, শেঠ ও বস্থকদিগের। ইহা বহুকালের পুরাতন বিগ্রহ। এই বিগ্রহ পূর্বে গোবিন্দপুরে ছিল । সেকালের গোবিন্দপুরের মধ্যে, শেঠ ও বস্তুকগণ অতি প্রাচীন অধিবাসী । এই বিগ্রহের অপর নাম—-গোবিন্দরায়। ইংরাজের গোবিন্দপুর গ্রাম ক্রয় করিলে, অধিবাসীগণকে তথা হইতে উঠাইয় দেওয়া হয়। সেই সময়ে, সম্ভবতঃ এই বিগ্ৰহটী কালীঘাটে আনা হইয়াছে। এই বিগ্রহেরও রাসাদি-উৎসব হইয়া থাকে। একজন প্রাচীন ব্রাহ্মণ এখন ইহঁর সেবায়েত । * যাত্রীপ্রদত্ত অর্থাদি, সেবায়েতরাই লইয়া থাকেন। হালদার মহাশয়দের সহিত ইহার কোন সংস্রব নাই । শিব ও শক্তির পূজা যে এদেশে বহু কালাবধি প্রচলিত আছে, তাহ আর স্বতন্ত্রভাবে প্রমাণ সহকারে বুঝাইবার কোন প্রয়োজন নাই । রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণ ও তন্ত্রাদিতে শিব ও শক্তিমাহাত্ম্য বিশেষরূপ বর্ণিত আছে। খৃষ্ট্রের অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে, শ্ৰীমচ্ছঙ্করাচার্য্যের যত্নে, শৈবমত বিশেষরূপে প্রচারিত হয়। অনেকানেক প্রাচীন রাজ-বংশীয়দের প্রচলিত মুদ্রায়, শিবের বৃষ ও ত্রিশুল প্রভৃতির প্রতিরূপ দেখিতে পাওয়া যায়। দক্ষিণাত্যে ও এতদ্দেশে, শিবলিঙ্গ-সমন্বিত বহুতর প্রাচীন মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। পৌরাণিক-ধৰ্ম্ম প্রচারিত হইবার প্রথমেই, শৈবধৰ্ম্ম ভারতবর্ষে পরিব্যাপ্ত হয় । শৈবদিগের মধ্যে অধিকাংশই উদাসীন সম্প্রদায়ী । ইহাদিগকে সচরাচর সন্ন্যাসী বলিয়া থাকে ।

  • আমি কৌতুহলাক্রান্ত হইয়া, এই দুই খামরায়েরই মন্দির দেখিতে যাই। বাহিরের পুরাতন SSBBBB BBBBS BB Btt D BBBBBB BB BBB BBBB DSBBBBS আমি এই বিগ্রহের জনৈক প্রাচীন সেবায়েতের সহিত সাক্ষাৎ করি । র্তাহার নিকট হইতে, এই ইমরায়ের সমস্ত বৃত্তান্ত জানিতে চাই। ব্রাহ্মণ—কোন রূপেই আমাকে কোন কথা বলিতে ধঠ হইলেন না। তাহার অবস্থা দেখিয়া যোধ হইল—তিনি এ সম্বন্ধে কোন প্রাচীন পিঃ৭ জানেন না। বাহিরের এই খামরায় বিগ্ৰহটী, অতি পুরাতন বলিয়ু বোধ হইল । সংরি অবস্থা দেথিয়া বুঝিলাম, যে মূৰ্ত্তিটা কাষ্ঠ-থোদিত। কিন্তু এদিকে আবার আর একটা ধগম্বর প্রচারিত আছে—বে শেঠ ও বমুকদিগের আদি গোবিন্দজী এখনও বড়বাজারে আছেন।