পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>○ কলিকাতা সেকালের ও একালের বিক্রয় জন্য ভারতে রপ্তানী করি, কিম্ব বঙ্গদেশ হইতে যে সকল মাল আমি দানী হয়, তাহার ক্রয়বিক্রয় সৌকর্য্যার্থে সুবিধাকর বন্দোবস্ত করিবেন। প্রত্যেক ফ্যাক্টরীর মালপত্র ও হিসাব, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তজ বিজ, কবিবেন। ফ্যাক্টারদিগের মধ্যে কে কিরূপ চরিত্রের লোক, তাহারও এক কাগজ প্রস্তুত করিবেন । যাহাতে তাহারা বৃথা বিবাদবিসম্বাদ ও হিংসাম্বেষ তাঙ্ক করিয়া, কোম্পানীর কাৰ্য্যে মনোযোগী হয়, তাহারও সদুপায় করিবেন। কাশিমবাজার কুঠীতে রঘু-পোদারের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ আমাদের নিকট পৌছিয়াছে, তাহারও একটা তদন্ত হওয়া বিশেষ প্রয়োজন ।” এইরূপভাবে উপদেশ পাইয়া, মাষ্টার সাহেব ১৬৭৬ খ. অন্ধের ৮ই জানুয়ারী, বিলাত ত্যাগ করেন । বিলাত ছাড়িবার সাত মাস পরে, তিনি মান্দ্রাজে উপস্থিত হন। জুলাই মাসে “ইগল” নামক জাহাজে আরোহণ করিয়া, তিনি বালেশ্বরের নিকট উপস্থিত হন। তিনি র্ত্যহার বঙ্গে আগমনের এক খানি ডায়ারী বা রোজনামচা রাখিয়া গিয়াছেন । এথানি আজও বিলাতের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে মুরক্ষিত। এই রোজনামচা হইতে বঙ্গদেশের সম্বন্ধে প্রায় আড়াই শত বৎসরের পূৰ্ব্বেব কথা জানিতে পার যায়। আমরা এই রোজনামচা হইতে পুরাতন স্থানসমূহ সম্বন্ধে কতক গুলি কথা পাঠকবর্গের গোচর করিতেছি । এই সময়ে বঙ্গদেশের উপকূলে বালেশ্বর, মধ্যভাগে হুগলী ও কাশিমবাজার, উত্তরপূৰ্ব্ব প্রাস্তে পাটনা, সিংহিয়া * পুৰ্ব্ব প্রান্তে ঢাকা, ইংরাজের প্রধান বাণিজ্য-কেন্দ্র ছিল। এতদ্ব্যতীত রাজমহলেও একটী ক্ষুদ্র এজেন্সি স্থাপিত হইয়াছিল। - বালেশ্বরের তীরভূমিতে “ইগলকে” ত্যাগ করিয়া মাষ্টার একখানি এদেশীয় ক্ষুদ্র জাহাজে উঠিলেন। ইগল জাহাজ, বালেশ্বর বন্দরেই নজর করিয়া, রহিল। মাষ্টারের ক্ষুদ্র তরণী, সাগর সঙ্গমের পথে, বঙ্গের প্রবেশস্বারে উপস্থিত হইল। এই মোহানার মুখে, সেই সময়ে অনেক গুপ্ত চড় ছিল। তাহাতে অনেক নৌকার বিপত্তি ঘটিত । চড়ীগুলি সাবধানে পার হইয়া, মাষ্টারের তরণী ভাগিরথীবক্ষে প্রবেশ করিল। মাষ্টার লিখিয়াছেন, “জাহাজ নঙ্গর করিবার পর, জেলেরা নানারকমের মাছ বিক্রয়

  • সিংহিয়ার অপর নাম লালগঞ্জ। গণ্ডকের পশ্চিম তীরে ইহার অবস্থান। কোম্পানীর পুরাতন কাগজপত্রে ইহা সিঞ্জি বলিয়া উল্লিখিত । এই সিংহিয়ার নিকটেই সোরার খনি ছিল। সোর কোম্পানীর একটা প্রধান বাণিজ্যন্ত্রব্য। বেশীরভাগ সেরা এইস্থান হইতেই সংগৃহীত হইত।