পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । ২৪ত এবং জোসেফ উড, নামক একব্যক্তি র্তাহার স্থানে কোম্পানীর মালধনীর কৰ্ত্ত নিযুক্ত হইলেন । - পাঠক ! মনে রাখিবেন-ইষ্ট-ইণ্ডিয়-কোম্পানী তখন ব্যবসায়ী বণিকসম্প্রদায় ভিন্ন আর কিছুই ছিলেন না। এদেশের উৎপন্ন দ্রব্য খরিদ করা, আর জাহাজে করিয়া বিলাতে চালান দেওয়া এবং বিক্রয়াস্তে তাহার রাভ-ভাগী হওয়াই, তাহীদের প্রধান কাৰ্য্য। যে যে স্থানে তাহীদের বাণিজ্য-কুঠী ছিল, সেই সেই স্থানের কার্য্য নির্বাহ করিবার জন্ত, ষে সকল ইংরাজ কর্মচারী থাকিতেন, তাহদের পরিচালিত করিবার জন্ত একজন কৰ্ত্ত থাকিত। এই কৰ্ত্তাই “এজেন্ট বা গবর্ণর" ইত্যাদি আখ্যায় বিভূষিত হইতেন। কৌন্সিল বা মন্ত্রণা-সভা, বৰ্ত্তমান কালের রাজ্য পরিচলনের সভা নহে, বিদ্যমানকালের লাট-কৌন্সিল ও নছে । কোম্পানীর এই সব কাউন্সিলে, কেবল কোম্পানীর বাণিজ্যস্বার্থ, ব্যবসায়ের শ্ৰীবৃদ্ধির কথা, কৰ্ম্মচারীদের দোষগুণের বিচার, ডিক্ৰী—ডিসমিস্ এই সবই আলোচিত হইয় এক নির্দিষ্ট প্রণালীমতে লিপিবদ্ধ হইত। হেজেস্—এই ভাবেই হুগলীর কুঠীর শাসনকৰ্ত্ত বা গবর্ণর ছিলেন। পাঠক মনে রাখিবেন, তাহার অধীনস্থ মন্ত্রী-সভা, বাণিজ্য সম্বন্ধীয় মন্ত্রী-সভা বই আর কিছুই নহে। এই সময়ে “ইণ্টার-লোপারদিগের” উৎপাত বড়ই বেশী হইয়া পড়ে। "ইন্টার-লোপার"দের উৎপাতে কোম্পানী বাহাদুরের ব্যবসা মাট হইতে ছিল। “ইন্টার-লোপার” কথাটা কি, পাঠককে একটু বুঝাইয়া বলিব । কোম্পানীর যে সমস্ত কৰ্ম্মচারী তখন এদেশে ছিলেন, তাহারা ধরিতে গেলে—একরূপ ইংলণ্ড ছুইতে নিৰ্বাসিত রূপেই থাকিতেন । তখন ঈমার ছিল না, আল্প-পৰ্ব্বত-বক্ষভেদী ওভার-ল্যাণ্ড রেল ছিল না, সুয়েজের যোজ্যপথ ছিল না, দ্রুতগামী মেল-ষ্টীমারও ছিল না। বিলাত হইতে এক ধান জাহাজ যাওয়া অভ্যাস করিতে একটী বৎসর কাটিয়া যাইত। পাঠকের যেন মনে থাকে, এই সমস্ত জাহাজ, আজকালকার বৈদ্যুতিক আলোকশোভিত, প্যাসেঞ্জার-স্টীমার নহে-পাইল-ওয়ালা জাহাজ মাত্র। কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে, যাহারা অনেকদিন এদেশে বাস করিয়া 'লামাল খরিদ ও চালানী কাজে অভিজ্ঞ হইতেন, আড়ঙ্গের কাজ বুঝিতেন, উীষ্টার স্পষ্টচঙ্গে দেখিলেন-গোপনভাবে বেনামীতে ব্যবসা চালাইলে, ণে উপয়সা উপরি রোজগার হয়। কিন্তু এ গুপ্ত-ব্যবসা চালাইতে হইলে গি তদুদেশে এক স্থান হইতে জন্য স্থানে মালামাল চালান দিতে গেলে,