পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8。ゲ কলিকাতা সেকালের ও একালের । হইয়াছিল। কারণ কৃলিকাতা প্রভৃতি গ্রামে, যে অনুপাতে প্রজাবিলি হইয়াছিল, সেই অনুপাতে খাজনা আদায় হইত না। অনেকে প্রতারণাপূর্বক স্বেচ্ছামত বেশী জমী দখল করিয়া লইত, কিম্বা দখলী-জমীর পরিমাণের তুলনায়, নির্দিষ্ট হারের অপেক্ষা কম খাজনা দিত। কাজেই প্রথম প্রথম এই গ্রামত্রয়ের খাজনা, উক্ত ১২৮১-এ টাকার কাছেও পৌছিত না । এইরূপ অবস্থা দেখিয়া, কোম্পানী-বাহাদুর ১৭০৪ সালে এই গ্রামত্ৰয়ের জরীপের আদেশ দেন । এই জরীপের ফলে, যে সব অধিবাসী অতিরিক্ত জমী দখল করিয়া কম খাজনা দিত, তাহারা ধরা পড়িল । কোম্পানী বাহাদুর, সেই সব অতিরিক্ত জর্মী বাজেয়াপ্ত করিয়া, পুনরায় প্রজাবিলি করিতে লাগিলেন। ইহাতে জমীদারীর আয় বৃদ্ধি হইতে লাগিল। ইহার পূৰ্ব্ব হইতেই রালফ, শেলডন, কালেক্টরের বা জমীদারের কাজ করিতেন। এই জরীপ-জমাবন্দীর পর হইতে র্তাহার কাজ বাড়িয়া উঠিল। এই সময়ে স্বতন্ত্রভাবে একজন জমাদার নিযুক্ত হইলেন। তাহার হস্তে খাজনা আদায়, জমীবিলি, জমীর জরীপ, সহরের পথ-ঘাটের উন্নতি, জরিমানী আদায়, ব্যবসায়ীদের নিকট শুষ্ক আদায়, বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট দস্তুরী ও তোলা আদায় প্রভৃতি কাজের ভার পড়িল। দেশীয়দের মধ্যে যে সমস্ত ফৌজদারী মোকদম উপস্থিত হইত, জমীদার সাহেব তাহারও বিচার করিতেন। র্তাহার অধীনেই জমীদারী ও ফৌজদারী-কাছারি ছিল ও পুলিস-বিভাগ ছিল । তখনচুর ডাকাতি খুন-জখম খুবই হইত। এজন্য মধ্যে মধ্যে পুলিসের শক্তি বৃদ্ধি করিবার প্রয়োজন হইত। তথন সংবাদপত্র ও ছাপাখানা প্রভৃতি কিছুই ছিল না। এজন্য কোম্পানী-বাহাদুরের কোন আদেশ সাধারণে প্রচারিত হইবার সময়, তাহা ঢেঁড়া দ্বারা সহরময় প্রচার করা হইত, কিম্ব তৎসম্বন্ধে ইংরাজী, বাঙ্গল, উর্দুতে নোটিশ লিথিয়া ফোটউইলিয়াম দুৰ্গদ্বারে লটকাইয়া দেওয়া হইত। ইউরোপীয়দের বিচারকোম্পানীর প্রতিষ্ঠিত আদালতেই হইত। সে সকল আদালতের কথা আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। এই সমস্ত আদালতে ছোট ছোট মামলার বিচার চলিত। বড় আদালতে, সকেন্সিল গবৰ্ণর সাহেব ফুলরেঞ্চে বিচার করিতেন। খুব বড় ও জটিল মোকদ্দমা হইলে, তাহ মাস্ত্রাজের কৰ্ত্তাদের নিকট বিচারার্থে পাঠান হইত। # - ১৭৭৬ খ্ৰীঃ অকের কাগজ পত্র হইতে সেকালের চোর-ডাকশতের শাস্তির কথা কিছু কিছু জানা যায়। উক্ত সালের একটা মন্তব্যে দেখা যায়