পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 6 a. কলিকাত সেকালের ও একালের । এই বঙ্গীর-আক্রমণে, বালেশ্বর হইতে রাজমহল পর্য্যস্ত ভূভাগ সমূহ সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিল। অনেক স্থান একেৰারে জনশূন্ত হইয়া পড়িল । “আই বগী আসিতেছে" এই রব উঠিলেই, লোকে প্রাণভয়ে নগর ও গ্রাম ছাড়িয়া পলায়ন করে। বর্গীর কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী “মকৃওয়া-থানা দুর্গ” দখল করে। ইহা নবাবী দুর্গ। এই দুর্গ দখলের পর, তাহার হুগলী অভিমুখে ধাবিত হয়। 態 কলিকাতা হুগলী পর্য্যন্ত অনেক গ্রামের লোক, প্রাণভয়ে কলিকাতায় জাসিয়া ইংরাজের আশ্রয় লইল । ইংরাজের কলিকাতাকে সুরক্ষিত করিবার জন্ম—নবাব আলিবর্দির নিকট প্রস্তাব করিয়া পাঠান-–“কলিকাতার চারিদিকে খাত-খনন করা ব্যতীত বৰ্গীর হাঙ্গাম হইতে উদ্ধার প্রাপ্তির আর কোন অণশ নাই ।” নবাব ইংরাজদের এ প্রস্তাবে সম্মতি দান করিলে, ইংরাজের কলিকাতার চারিদিকে খাত-খনন করিতে আরম্ভ করেন । ইহাই Mahratta Ditch বা ‘মুহারাষ্ট্র-খাত” বলিয়া ইতিহাসপ্রসিদ্ধ। নানা কারণে কলিকাতার চারিদিক ব্যাপিয়া এই থাত খননের অবসর ও সুবিধা ঘটে নাই। ইহা সম্পূর্ণ করিতে পারিলে, ইহার বেষ্টন সাত মাইল হইত। ছয়মাসের মধ্যে তিন মাইল বা দেড় ক্রেশশ পৰ্য্যন্ত খাত খনিত হয়। কর্তৃপক্ষ যখন বুঝিলেন—বৰ্গীদের অ্যর কলিকাতায় আসিবার কোন সম্ভাবনা নাই, তখন এই খাত-খনন কাৰ্য্য বন্ধ করা হয়। এই অৰ্দ্ধাংশ খনিত থাতের মাট সমূহ-কলিকাতায় দিকেই ফেলা হইয়াছিল। এজন্য বহুকাল পর্য্যন্ত ঐ সমস্ত স্থান ক্ষুদ্র পাহাড়ের মত উচু হইয়াছিল। এই সমুচ্চ স্থানকে সমতল করিয়া পরে একটা প্রশস্ত রাস্ত প্রস্তুত করা হয়। সেই রাস্তার দুই দিকে বৃক্ষাদি রোপিত হওয়ায় এই মুদীর্ঘ পথট নগরবাসীদের সান্ধা-ভ্রমণের উপযুক্ত হইয় উঠে। এই খাত-খনন ব্যাপারে, কলিকাতার দেশীয় অধিবাসীরাও আত্ম-রক্ষার জন্ত কোম্পানী-বাহাদুরের যথেষ্ট সহায়তা করে। খাতট এরূপভাবে চওড়া করা হয়—বাহাতে মহারাষ্ট্র অশ্বারোহীগণ সহজে ইহা উত্তীর্ণ হইতে না পারে। কলিকাতা, মুতালুট ও গোবিন্দপুর এই গ্রাম তিনখানি বেড়িয়া খালট বর্তমান চৌরঙ্গীর মিডন্টন ষ্ট্রীটের কাছে পৌছিবে, তৎপরে গোবিনা

  • আজকালকার বোটানিকেল গার্ডেনের যে বাড়ীতে বাগানের সুপারিনটেণ্ডেণ্ট সাহেক স্বাস করিতেছেন—তাহাই পূর্বে “মকৃওয়া থানার" অধিকৃত স্থান ছিল। বগীর কলিকাতার এত নিকটে আসিয়াও যে কলিকাতা আক্রমণ করে নাই—সম্ভবতঃ তাই ইংরাজের কামানের ভয়েই বলিয়া অনুমিত হয়। -