পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ অধ্যায় Nరిసి) মহরম ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহাদাঙ্গ ও হত্যাকাণ্ড । — আমরা বর্তমান বৎসর হইতে ১২৫ বৎসর পূর্বের আর একটা সংবাদ দিতেছি । এ সংবাদটী তৎকালীন সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয় । “এই বৎসরে দুর্গোৎসব ও মহরম একই সময়ে পড়ে।* এই উপলক্ষে বাজারে ইতিপূৰ্ব্বে কয়েকটা ছোট খাট দাঙ্গা-হাঙ্গামা হইয়া গিয়াছে। নিম্নলিখিত ঘটনাটী অতি ভয়ানক। এজন্য ইহার সবিশেষ বিবরণ দেওয়া যাইতেছে।” * “গত সোমবার অপরাহ্নে ( ১লা অক্টোবর ১৭৮৯ ) কোম্পানীর প্রসিদ্ধ ধনী ও বেনিয়ান, রামকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গ-প্রতিমা, ভাসানের জন্য রাজপথে বাহির করা হয়। প্রতিমার সঙ্গে অনেক লোকজন ছিল । পালকীতে বাড়ীর মেয়েরাও ছিলেন। দরোয়ান-পাইক, আশাসোটারও অভাব ছিল না । বৈঠকখানা বাজারের নিকট প্রতিমাখানি আসিলে, একদল মুসলমান সেই প্রতিমা আক্রমণ করে। এই আক্রমণের ফলে, ভয়ানক দাঙ্গা বাধে, ও উভয় পক্ষের লোকজন জখম হয় । অবশেষে মুসলমানের প্রতিমাখনিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দেয়। তৎপরে রামকান্ত বাবুর পুত্রবধূর পালকীও বদমায়েসের আক্রমণ করে, ইহাতে তাহার পুত্রবধু সাংঘাতিকরূপে আহত হন। রামকান্ত বাবু, এ ব্যাপারে ভয়ানক ক্রুদ্ধ হইয়া প্রতিশোধ লইবার জন্য, পরদিন ( মঙ্গলবার ) প্রাতে, ষাটজন অস্ত্রধারী বরকন্দাজ লইয়া, বৈঠকখানা-অঞ্চলে মুসলমানদের যতগুলি “দরগা” ছিল, সবই ধ্বংস করিয়া দেন । “মুসলমানের সেইদিন সন্ধার সময়, দুই তিনশত লোক সংগ্ৰহ করিয়৷ একট দল বাধে। রামকাস্তের বাটী, অস্ত্রধারী প্রহরী দ্বারা মুরক্ষিত, সুতরাং উহার কিছু করিতে না পারিয়া, তাহারা বৌবাজারে সুখময় ঠাকুরের বাটী আক্রমণ করে। যাহা কিছু তৈজসপত্র, জুয়েলারি সবই লুঠ করে। পাচ হাজার টাকার সোনার-মোহর, ও আট হাজার টাকার কোম্পানীর-বগু ও সার্টিফিকেট প্রভৃতিৰু তাহার লুঠ করিয়া লইয়া যায়। যাইবার সময়ে, সেই বাটীর মধ্যে দুইটী গেণহত্যা করে।

  • ১৮৫৭ খ, অব্দে মিউচিনির বৎসরেও, দুর্গোৎসব ও মহরম এক সময়ে পড়িয়া ছিল। তাছার পর এ পর্যাপ্ত আর হয় নাই ।