ઇને কলিকাতা সেকালের ও একালের । আপনার সমস্যার পূরণ করিতে পারে। অনুমতি প্রদান कब्रिटण-श्रांभांद्र রচিত পদটা মাপনাকে শুনাইরা দিই।” খাদসাহ দেখিলেন, এক গৌরকাস্তি, সমুন্নতকায় বাঙ্গালী যুবক, তাহার নিকট এই প্রার্থনা করিতেছে। তিনি তখনই সম্মতি দিলেন। প্রতাপ পদপূরণ কৰিয়া বাদসাহকে শুনাইলে, তিনি মহাসন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে নানাবিধ বহুমূল্য দ্রব্য পুরস্কার দেন। এই দিন হইতেই বাদসাহের সহিত, প্রতাপের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে—আলাপ পরিচয় হয় । * 爱 আগরায় অবস্থান কালে, প্রতাপ একস্থানে স্থির হইয়া থাকিতে পারিতেন না। তিনি মধ্যে মধ্যে বন্ধুদ্বয়ের সহিত দূর-দূরান্তর দেশে, এমন কি পঞ্জাব, রাজপুতান, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে ভ্রমণ করিয়া আসিতেন। এইরূপে আকবর-সাহের শাসন নীতি ও সাম্রাজ্য সম্বন্ধে, তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা লাভ করিলেন । বহুকাল আগরায় অবস্থান করিবার পর, একদিন প্রতাপ এক দুঃসাহসিক কাজ করিলেন। যশোর হইতে যে রাজস্ব, সম্রাট-সরকারে আসিত তাহা তিনি এতদিন নিয়মিত রূপেই দিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু সেই বার সহসা রাজস্ব দাখিল বন্ধ করিয়া দিলেন। ইহাই তাহার প্রথম কুটনীতি। যশোর হইতে রাজস্ব না আসার কথা, ক্রমে বাদসাহের কাণে উঠিল। আকবর সাহ ইতিপূৰ্ব্বেই প্রতাপকে ভালরূপে চিনিয়াছিলেন। তিনি তাহাকে নিজের সান্নিধ্যে আহান করিয়া বলিলেন—“তোমার পিতা যশোরের খাজনা প্রেরণ বন্ধ করিলেন কেন ?” প্রতাপ বিনয়ের সহিত বলিলেন—“জাহাপনা ! আমার পিতৃদেব রাজকাৰ্য্য হইতে অবসর লইয়াছেন। খুল্লতাত বসন্তরায়ের উপর এখন রাজ্য-ভারন্যন্ত । জানিনা কি গৃঢ় উদেশ্য চালিত হইয়া, আমার খুল্লতাত—আগরায় করপ্রেরণে এইরূপ
- প্রতাপাদিত্য আগ্রার রাজসভায় যে সমস্যাট পূরণ করিয়াছিলেন—তাহা এই...
শোবর কামিনী মীর নিহারতিরিত ভালি হেঁ... চিরমচরকে গঠপর বাপিকে ধারেছু চল চলি হেঁ... স্নায়বচৌরি আপন মনমে উপমাও চারি হেঁ... . . * কেছঙ্গ ঘরোরতি সেত ভূজঙ্গিনী জাত চলিছে। রাম রাম বন্ধ ও শাস্ত্রীর প্রতাপাদিত্য চরিতে জাকবরসাহ অতি গুণগ্রাহী সম্রাট ছিলেন । তাছার সভায়, কবি, দার্শনিক সৰ্ব্ববিষয়ে জ্ঞানবিশারদ ব্যক্তিরঙ্গ, সৰ্ব্বদাই উপস্থিত থাকতেন। রাজকাৰ্য্যের অবসানে, চিত্তবিনে স্বনের জন্য কিম্ব জ্ঞানালোচনার জন্য, বাদসহ উপস্থিত পণ্ডিতগণের সহিত নানাবষক্মিণী জালাপ করিতেন। হিন্দু মুসলমান, খ্ৰীষ্টান, পটুগীজ, সৰ্ব্বজাতীয় লোকই এই সভায় উপস্থিত থাঙ্কিত।
